কে এই হত্যাকারী?
তুরস্কে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কারলোভকে গুলি করে হত্যাকারী মেভলুত মার্ট আলতিন্তাস একজন পুলিশ সদস্য। তিনি ছুটিতে থাকলেও রাষ্ট্রদূতের অনুষ্ঠানে প্রবেশ ও তাঁকে হত্যায় পুলিশের অস্ত্রই ব্যবহার করেছেন। খবর বিবিসির।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সোমবার একটি ফটো গ্যালারিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কারলোভকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আঙ্কারায় রুশ দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি ছবির প্রদর্শনীতে অংশ নেন কারলোভ। ‘তুর্কিদের চোখে রাশিয়া’ শীর্ষক ওই চিত্র প্রদর্শনী চলছিল।
রাষ্ট্রদূতকে গুলির পর হত্যাকারী আলতিন্তাসের সঙ্গে পুলিশের ১৫ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর তিনিও পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২২ বছর বয়সী আলতিন্তাস আঙ্কারা পুলিশের সদস্য। তিনি সিরিয়ার আলেপ্পোতে রাশিয়ার সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করে আসছিলেন। এরই জের ধরে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান বলে মনে করা হচ্ছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, রাশিয়া সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতেই এই হামলা করা হয়েছে। তবে এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে হামলাকারী ওই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা ছিল কি না।
আলতিন্তাস ১৯৯৪ সালে তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে আইদিন প্রদেশের সোক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তিনি একটি বিশেষ স্কুলে পুলিশ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। আঙ্কারায় দাঙ্গা পুলিশ স্কোয়াডের একজন সদস্য হিসেবে তিনি যুক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি চিকিৎসার জন্য ছুটিতে ছিলেন বলে তুর্কি সংবাদপত্র হুরিয়েতের এক খবরে জানানো হয়েছে। সরকারপন্থী দৈনিক পত্রিকা সাবাহ বলছে, আলতিন্তাস পুলিশ সদস্যের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ওই আর্ট গ্যালারিতে প্রবেশ করেন।
আলতিন্তাস কোনো রাজনৈতিক দল বা চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি না, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে তুরস্কের কিছু গণমাধ্যম প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিরোধী ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা খোঁজার চেষ্টা করছে। গত জুলাইয়ে মাসে তুরস্কে এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পেছনে গুলেনের হাত ছিল বলে মনে করেন এরদোয়ান সমর্থকেরা।
মন্তব্য চালু নেই