ব্রিটেনে প্রতি পাঁচজনের একজনই গরিব
বিত্তবৈভবে বাঁচার আশায় বিলেতে যেতে মন চাইছে? তাহলে জানুন, সে দেশেও গরিব মানুষের সংখ্যা কম নয় মোটেও। সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশটির প্রতি পাঁচজনের একজনই দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত। সংখ্যাটি সব মিলিয়ে ৭৫ লাখ। এদের মধ্যে ২৬ লাখই শিশু, যারা মানুষের বাড়িতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।
রৌনট্রি ফাউন্ডেশনের এক গবেষণার বরাত দিয়ে খবরটি প্রকাশ করেছে ন্যাম নিউজ নেটওয়ার্কট। এ দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি বলছে দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করা মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫৫ ভাগই কাজ করছে অন্যের বাড়িতে।
২০১৬ সালে দারিদ্র্য এবং সামাজিক বহিষ্করণ পর্যবেক্ষ প্রতিবেদনে নিউ পলিসি ইনস্টিটিটিউট এ তথ্য দিয়েছে। জোসেফ রৌনট্রি ফাউন্ডেশনের জন্য এ প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে জানিয়েছে নিউ পলিসি ইনস্টিটিউট। গবেষণা পতিষ্ঠানটি জানাচ্ছে বৃটেনের ২১ শতাংশ মানুষ, অর্থাৎ প্রায় এক কোটি ৩৫ লাখ মানুষ বর্তমানে দারিদ্র্যে বসবাস করছে।
রৌনট্রি ফাউন্ডেশনের হেলেন বারনার্ড বলেন-‘২০১০ সাল থেকে বৃটেনের অর্থনীতি একটু ভালো হতে শুরু করেছে, কিন্তু এর মধ্যে বাড়তি ভাড়া, কম বেতন আর কাজ করার বয়সের ওপর যে সুবিধাগুলো ছিল সেগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দারিদ্র্যের হার বেড়েছে।’ তিনি বলেন-‘এই প্রতিবেদনটা আমাদের বুঝিয়ে দিলো নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী আসলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের আশায় বসে থাকতে পারে না। চার সদস্যের একটা পরিবার যারা কিনা কাজ কর্ম করে কোনো রকমে টিকে আছে, তাদেরও বছরে অন্তত ১২শ মার্কিন ডলারের প্রয়োজন পড়বে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য।’
নিউ পলিসি ইনস্টিটিউটের ড. পিটার কেনওয়ে বলেন, ‘আজকের দিনের একজন দরিদ্র প্রাপ্তবয়স্ক, ১৫ বছর আগে হলে, সেসময়কার একজন কর্মব্যস্ত তরুণ হতে যে কিনা একটা বাসা ভাড়া করে থাকার মতন অবস্থায় থাকতো।’
প্রতিবেদনটি আরো বলছে, ২০১০-২০১১ সালের দিকে বৃটেনের অর্থনীতি চাঙ্গা হবার শিরোনামের তলায় চাপা পড়ে গেছে এগারো লাখ কর্মজীবী ব্রিটিশ নাগরিকের দারিদ্র্যের খবর। এক দশকে নিজের বাড়ি থেকে ভাড়া বাড়িতে উঠে আসা মানুষের সংখ্যা ২২ লাখ থেকে ৪৫ লাখে চলে এসেছে। এর অর্ধেকেরই বসবাস লন্ডন এবং দক্ষিণ ইংল্যান্ডে।
মন্তব্য চালু নেই