ভারতকে ‘প্রধান প্রতিরক্ষা বন্ধু’ করে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস
হোয়াইট হাউসে ক্ষমতার পালাবদলের ঠিক আগ মুহূর্তে ভারতকে নিজেদের ‘প্রধান প্রতিরক্ষা সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগোল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিল পাস হয়েছে।
এখন শুধু প্রেসিডেন্টের সইয়ের অপেক্ষা। প্রেসিডেন্ট সই করলেই এটি আইনে পরণত হবে। কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ৯৯টির মধ্যে ৯২টি ভোটই পড়েছে নয়াদিল্লির পক্ষে। এর আগে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে বিলটি পাশ হয়েছিল ৩৭৫-৩৪ ভোটের ব্যবধানে।
সরকারিভাবে ১০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কূটনীতিকদের একাংশ মনে করছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাই ‘২০১৭ ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট’-এ সই করবেন। কূটনীতিকদের দাবি এই আইনে লাভ দু’পক্ষেরই।
প্রতিরক্ষা খাতে দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে চলতি বছরের জুন থেকেই নয়াদিল্লির সঙ্গে টানা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল ওয়াশিংটন। গতকাল শুক্রবারই নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের সঙ্গে বৈঠক করেন আমেরিকার বিদায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাস্টন বি কার্টার। আর তার পরেই এই বিল পাশের খবর।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ১৮০ দিনের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে এই ইন্দো-মার্কিন যৌথ সম্পর্ক কীভাবে তৈরি হবে এ নিয়ে কংগ্রেসে রিপোর্ট পেশ করবেন। যৌথ স্বার্থে ভারত কতটা সাহায্য করতে পারবে তা-ও খতিয়ে দেখবেন তারা।
মার্কিন সিনেটের ইন্ডিয়া ককাসের সহ-সভাপতি মার্ক ওয়ার্নার ভারতের এই অন্তর্ভুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক সহযোগিতা তো বটেই, এর ফলে দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাণিজ্য, গবেষণা ও প্রযুক্তি বিনিময়েও বিস্তর সুবিধা হবে।’
পাশাপাশি, বিশ্ব-নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এই জোট কার্যকরী হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আর নয়াদিল্লির একাংশের আশা শুধু যুদ্ধে নয়, এবার বিপর্যয় মোকাবিলা, ত্রাণ-উদ্ধার এমনকি পাচার রোধেও দুই দেশ একজোট হবে।
মন্তব্য চালু নেই