ডিপফ্রিজে ধ্যানস্থ বাবা!

ভারতের পাঞ্জাবে আধ্যাত্মিক ধর্মীয় নেতা আশুতোষ মহারাজকে গত ২৯ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। তবে ভক্তরা এটি মানতে নারাজ। তাদের দাবি মহারাজ মরেননি। তিনি ধ্যানস্থ হয়েছেন। তাই তাকে সমাধিস্থ করা যাবে না। দীর্ঘ ১১ মাস ধরে মহারাজের মৃতদেহ তার আশ্রমের ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছেন।

শিখদের কাছে বিতর্কিত ধর্মীয় গুরু আশুতোষ মহারাজ দিব্য জ্যোতি জাগৃতি সংস্থা নামে একটি অলাভজনক ধর্মীয় আধ্যাত্মিক সংস্থা পরিচালনা করতেন। তার আশ্রমটি পাঞ্চাবের জলন্ধরের নুরমহাল এলাকায়। দাবি করা হয়, ১৫টি দেশে সংস্থাটির সাড়ে তিনশ শাখা রয়েছে। এসব দেশে মহারাজের তিন কোটি ভক্ত রয়েছে। ভারতসহ অন্যান্য দেশে মিলিয়ে আশ্রমের প্রায় এক হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি রয়েছে।

গত ২৯ জানুয়ারি মহারাজকে মৃত ঘোষণার পর ভক্তরা তার লাশ আশ্রমে নিয়ে যায়। মহারাজ মরেননি বরং ধ্যানস্থ হয়েছেন, পরে জাগ্রত হবেন বলে দাবি করে তার ভক্তরা। তারা মহারাজের মৃতদেহটি আশ্রমের ভেতরে একটি ডিপ ফ্রিজে রেখে দেয়। বাবা যে কোনো সময় জেগে উঠবেন এ আশায় প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত আশ্রমে ভিড় জমাচ্ছে।

এদিকে নিজেকে মহারাজের সন্তান বলে দাবি করেছেন দালিপ কুমার নামে এক তরুণ। তিনি মহারাজের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। আদালত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মহারাজের শেষকৃত্য সম্পন্নের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ নির্দেশ দেয়ার পরই মহারাজের বিক্ষুব্ধ ভক্তরা আশ্রমকে ঘিরে রেখেছে।

এদিকে ১৪ ডিসেম্বর মহারাজের সব ভক্তকে আশ্রমের বাইরে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।

আশ্রমের এক মুখপাত্র জানান, তারা হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে শিগগিরই আপিল করবেন। গুরু মরেননি, তিনি ধ্যানস্থ হয়েছেন।

পুলিশের এক কর্মকর্তারা বলছেন, আশ্রমের বাইরে যাতে ভক্তরা জমায়েত না হয় সেজন্য তারা ডেরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, আশ্রমের ভেতরে ছয় থেকে সাতটি লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্রও রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই