নোটবাতিল? মাটি খুঁড়লেই পেতে পারেন ‘সোনা’!

ভারতে নোটবাতিল নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, তখন এক ভারতীয় তাঁর স্ত্রীকে উপহার দিলেন সব থেকে দামী পাথর। ২৫তম বিবাহবার্ষিকীতে নবীন জৈন তাঁর স্ত্রীকে দিলেন ‘মুন রক’।

ভাবছেন, ‘মুন রক’ আবার কী? সহজ ভাষায় ‘চাঁদের পাথর’। এবার প্রশ্ন, নবীন জৈন সে পাথর পেলেন কোথায়? আবারও একটি সহজ উত্তর, চাঁদে। কিন্তু, নবীন জৈন চাঁদে গিয়েছিলেন বলে জানা নেই তো! তা হলে?

বছর পাঁচেক আগে, ‘মুন এক্সপ্রেস’ নামে এক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন নবীন জৈন যার মূল কাজ, চাঁদের মাটি খুঁড়ে খনিজ পদার্থ বের করা।

কোনও বেসরকারি কোম্পানি হিসেবে মুন এক্সপ্রেসই প্রথম, চাঁদের জমিতে নিজের স্পেসক্রাফ্ট পাঠানোর সুযোগ করে নিয়েছে। ২০১৭-র শেষের দিকেই মুন এক্সপ্রেস তাদের প্রথম ‘মিশন লঞ্চ’ করবে বলে জানিয়েছে।

২০১৪-য় প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, চাঁদে যে পরিমাণ খনিজ সম্পদ রয়েছে, তাতে পৃথিবীতে এলে কোটিপতির সংখ্যা হবে ৫০০ কোটি! অঙ্কটা মাথা গুলিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট!

এখানেই নবীন জৈনের প্রবেশ। তিনি চাঁদের মাটিতে খনি খুঁড়ে করে সৃষ্টি করবেন সেই সব কোটিপতিদের।

কিন্তু চাঁদের পাহাড়ে কি সত্যিই সোনা পাওয়া যাবে? জানা নেই কারোরই। তা হলে কীসের ভিত্তিতে নবীন জৈন এমন কথা বলছেন? তাঁর মতে, চাঁদে রয়েছে হিলিয়াম-৩, যা ধরাধামে খুবই বিরল। অথচ, এই হিলিয়াম ব্যবহার করা হয় পারমানবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রে। হিলিয়াম ছাড়া অন্যান্য গ্রহাণু থেকে পাওয়া যায় প্ল্যাটিনাম, টাইটেনিয়াম, কোবাল্ট, নিকলের মতো ধাতু। এর পরে আর কোনও দ্বিধা থাকারই কথা নয় চাঁদের পাথরের মূল্য নিয়ে।

প্রসঙ্গত, নবীন জৈন দাবি করেছেন যে বিশ্বে তাঁর কাছেই রয়েছে সর্ববৃহৎ উল্কাপিণ্ডের সংগ্রহ। -এবেলা।



মন্তব্য চালু নেই