পাকিস্তানের বিধ্বস্ত বিমান বালা মৃত্যুর আগে (জীবনের) শেষ এসএমএসে যা লিখেছেন
আন্তর্জাতিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক সাগরে ভাসছে পাকিস্তান। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) বিধ্বস্ত বিমানের পাঁচ ক্রুর একজন ছিলেন আসমা। বুধবার বিকেলে বিমানটি হ্যাভেলিনের কাছে বিধ্বস্তের আগে আসমা তার বাবাকে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। দুই সন্তানের মা আসমা সেই ক্ষুদেবার্তায় তার শ্বশুরকে লিখেন, ‘ধন্যবাদ আব্বু।’
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি আসমা। মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। মাকে হারিয়ে বিলাপ করছে তার ছোট্ট দুই সন্তান।
পিআইএর ফ্লাইট পিকে-৬৬১ বুধবার বিকেলে ৫ ক্রুসহ ৪২ যাত্রী নিয়ে খাইবার পাখতুন খাওয়ার হ্যাভেলিনের কাছে বিধ্বস্ত হয়। আসমার মৃত্যুর খবর শোনার পর বাড়িতে দুই নাতিকে খুঁজছিলেন তার শ্বশুর। ডেইলি পাকিস্তানকে তিনি বলেন, খুব ভালো মেয়ে ছিল আসমা। বাড়িতে সবার যত্ন নিতো। সে আমার আদরের মেয়ে ছিল।
বিমান বিধ্বস্তের আগে শেষবারের মতো শ্বশুরকে মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়েছিলেন আসমা। এসএমএস পাওয়ার পর তিনি আসমাকে ফোন দিয়েছিলেন; কিন্তু কোনো সাড়া পাননি। চোখের পানি মুছতে মুছতে তিনি বলেন, দুই নাতি তাদের সঙ্গেই ছিলেন। আমি তাকে ফোন করেছিলাম কিন্তু কোনো জবাব পায়নি। এর ১৫ মিনিট পরে একটি এসএমএস পাই। এসএমএসে আসমা বলেন, ধন্যবাদ আব্বু।
আসমা রেখে গেছেন চার বছর বয়সী ছেলে তালহা ও এক বছরের মেয়ে উম্মে হানিকে। বিমান বিধ্বস্তের দুই দিন আগে উম্মে হানির জন্মদিন পালন করেছিলেন আসমা। আসমার আরো ৫ ভাই ও বোন আছে।
আসমা ছাড়াও ওই বিমানের আর চার ক্রু নিহত হয়েছেন। পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত বিমানের সব আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার কথা জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
মন্তব্য চালু নেই