বিধ্বস্তের আগেই বিমানে আগুন : ৪৭ যাত্রীই নিহত

চিত্রাল থেকে ইসলামাবাদগামী পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) বিধ্বস্ত ফ্লাইট পিকে-৬৬১ এর কোনো যাত্রী বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। বুধবার বিকেলে পিআইএর ওই ফ্লাইটটি ৫ ক্রুসহ ৪৭ যাত্রী নিয়ে হেভেলিয়ান এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে দেশটির সরকারি এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানের কোনো যাত্রীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।

হেভেলিয়ান অঞ্চলের সরকারি কর্মকর্তা তাজ মুহাম্মদ খান বলেন, আগুনে পুড়ে সব আরোহী মারা গেছেন। বিমানের ধ্বংসাবশেষ বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, পাহাড়ি এলাকায় ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। মাটিতে পড়ার আগেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিধ্বস্তের পর বিমানের ধ্বংসাবশেষের ভেতর থেকে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানটিতে ৩১ নারী, ৯ পুরুষ, ২ শিশু ও ৫ ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে অন্তত তিনজন বিদেশি রয়েছেন। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের সহ দেশটির জনপ্রিয় গায়ক জুনাইদ জামশেদও ওই বিমানে ছিলেন।

পিআই`র ফ্লাইট পিকে-৬৬১ এর যাত্রীবাহী বিমানটি বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় চিত্রাল বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পিআইএর এক মুখপাত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, পিকে-৬৬১ ফ্লাইটটি উড্ডয়নের পর পরই রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে।



মন্তব্য চালু নেই