রাখাইনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ক্ষুব্ধ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন

মিয়ানমারে চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। তারা বলেছে, রাখাইনে সেনা শক্তির অপব্যবহার করছে মিয়ানমার সরকার। বিষয়টা নিয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি তুলেছে সংস্থাটি।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মুখপাত্র ফ্রেদেরিকা মেঘোরিনি বলেন, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে সেনা শক্তির অপব্যবহার করছে মিয়ানমার সরকার। সেখানকার হাজার হাজার মানুষ নিপীড়নের শিকার।

অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মিয়ানমারকে সরকারকে আহ্বান জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পাশাপাশি সেখানকার মানবাধিকার লংঘনের বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত দাবি করছে ইইউ।

এদিকে জাতিসংঘেরর স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা ইউএনএফপিএর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গত দুই মাসে সেখানে তীব্র স্বাস্থ্যসেবায় তীব্র সংকটে ভুগছে রাখাইনের মংডু এলাকা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যটির ৭ হাজারের বেশি গর্ভবতী নারী।

সাম্প্রতিক নির্যাতনে প্রায় ৩০,০০০ রোহিঙ্গা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে এবং উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।

নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ তদন্ত করতে বিদেশি সাংবাদিক, স্বাধীন তদন্ত সংস্থা ও মানবাধিকার কর্মীদের এসব অঞ্চলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে দেয়া হচ্ছে না।

কয়েক প্রজন্ম ধরে এসব রোহিঙ্গারা বার্মায় বসবাস করে আসছে। তারপরেও তাদের নাগরিকত্বকে স্বীকার করা হয়নি। তারা বিবাহ, ধর্মপালন, সন্তান জন্মদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তারা সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগণ হিসাবে বসবাস করছে।

২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের ঘর-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয় এবং এরপর থেকে তারা পুলিশ পাহাড়ায় দারিদ্র্যপীড়িত ক্যাম্পে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানে তারা স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই