মেলানিয়া ট্রাম্প থেকে মুক্তি চেয়ে ১ লাখ আবেদন!

বাচ্চার স্কুলের সময় শেষ না হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হবু ফার্স্ট লেডি নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন এমন ঘোষণা দেওয়ার পর অন্তত ১ লাখ মানুষ এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। লিখিত একটি আবেদনে তারা তল্পিতল্পা গুটিয়ে মেলানিয়াকে নিউইয়র্ক থেকে বিতাড়নের দাবি জানিয়েছেন।
স্বভাবতই এই হবু প্রেসিডেন্টের পরিবারকে হোয়াইট হাউসে অবস্থানের জন্য ওয়াশিংটন ডিসিতে যেতে হবে। কিন্তু এ সময় মেলানিয়া ট্রাম্প নিউইয়র্কে থেকে যেতে চান। তিনি নিউইয়র্কে থাকলে তার নিরাপত্তার জন্য প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়। কিন্তু শহরটির সাধারণ করদাতারা এটা মানতে নারাজ।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিউইয়র্কের করদাতারা প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর জন্য প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ডলার খরচ দিতে পারবেন না। এরপরও যদি তারা এখানে থাকতে চান তাহলে ট্রাম্প কিংবা তার স্ত্রীকেই সেই ব্যয় বহন করতে হবে। তাদের দাবি, নিউইয়র্কবাসীর করের টাকা খরচ হবে শহরের রাস্তাঘাট, অবকাঠামো উন্নয়ন ও চাকুরি সৃষ্টির কাজে, ট্রাম্পের পরিবারের নিরাপত্তায় নয়।
ম্যানহাটনের ৫৮ তলা ট্রাম্প টাওয়ার থেকে বেরিয়ে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ডু কিউমো এবং সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিও সংবাদমাধ্যমকে জানান, ট্রাম্পের স্ত্রীকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এতো বিপুল পরিমাণ অর্থ তারা (আবেদনকারীরা) ব্যয় করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বর্তমানে ট্রাম্প টাওয়ারে ট্রাম্পের পরিবার বসবাস করছে।
আবেদনে আরো জানানো হয়েছে, নিউইয়র্কের করদাতারা শুধু একার জন্য এতো বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের পক্ষে নন। তারা শহরের উন্নয়নে ব্যয় করতে চান করের অর্থ।
মিসেস ট্রাম্প জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে ট্রাম্পের শপথের আগ পর্যন্ত তিনি এখানকার দৃষ্টিনন্দন ঝাড়বাতি ও গ্রিক মিথের উপর চিত্রিত শিল্পকর্ম বেষ্ঠিত ছাদের নিচে আপাতত: থাকতে চান। বসন্তের প্রথমার্ধ পর্যন্ত তার ১০ বছর বয়সী ছেলে ব্যারনের স্কুলের পাঠ চুকানোর পর তিনি হোয়াইট হাউসে যেতে চান।
তিনি জানান, তার ছেলেকে স্কুলে আনা নেওয়া বাবদ তার বার্ষিক ব্যয় ৪০ হাজার ডলার।
এদিকে, প্রেসিডেন্টের স্থানান্তর অফিস কর্মকর্তা তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। জবাবে ট্রাম্পের এক মুখপাত্র জেসন মিলার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্থানান্তরের ব্যাপারে কোনো দাফতরিক ঘোষণা এখনও দেওয়া হয় নাই। তবে যেকোনো পরিবার তাদের ১০ বছর বয়সী সন্তানের জন্য বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এটাই স্বাভাবিক।
ট্রাম্প টাওয়ারে তাদের অবস্থান বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী এবং নিউইয়র্ক পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, ট্রাম্প টাওয়ার এমন একটি জায়গায় অবস্থিত যেখানে সাধারণ মানুষ অবাধে যাতায়াত করতে পারে। নির্বাচনের পর থেকে ওই টাওয়ারটি ট্রাম্পের বিপক্ষ শিবির, সংবাদকর্মী ও পুলিশ বেষ্ঠন করে আছে।
এ প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের স্ত্রী এবং তার ছেলে যদি সেখানে থাকতে চান তাহলে টাম্পকেও ঘনঘন সেখানে আসতে হবে। যা নিউইয়র্ক সিটির পুলিশের জন্য বাড়তি চাপ ও ব্যয় হবে। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
































মন্তব্য চালু নেই