ভারতে নোট বাতিল, অথচ তাতে লাভবান হচ্ছে চিন : কিন্তু কীভাবে!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশ থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেশে সঞ্চিত কালো টাকা ও জাল টাকার ভান্ডারে আঘাত হানার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হবে, দেশ কতটা উপকৃত হবে এই পদক্ষেপের ফলে, তা সময়ই বলবে। কিন্তু আপাতত দেখা যাচ্ছে, মোদীর পদক্ষেপের ফলে চিনের উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নোট বাতিলের ফলে দেশের অর্থব্যবস্থা প্রায় আমূল পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে দেশের এটিএমগুলিকে অবিলম্বে নতুন নোটের উপযোগী করে তোলার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। আসলে পুরনো এটিএমগুলি গ্রাহককে নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকা পরিবেশনের পক্ষে উপযুক্ত নয়। এসবিআই-এর চেয়ারম্যান অরুন্ধতী ভট্টাচার্য একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পুরনো এটিএমগুলিতে যে ম্যাগনেটিক স্পেসার এবং ওয়েজ নামের যন্ত্রাংশ রয়েছে, সেগুলি নতুন নোটের পক্ষে অনুপযোগী। ফলে এটিএমগুলিকে বদল করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, দেশের ২ লক্ষ এটিএম-এর মধ্যে ২২,৫০০ এটিএম-কে এখনও পর্যন্ত নতুন নোটের উপযোগী করে তোলা গিয়েছে। দেশের প্রয়োজন মাথায় রেখে এটিএম-এর নতুন যন্ত্রাংশ যেমন কেনা হচ্ছে, তেমনই কেনা হচ্ছে একেবারে নতুন এটিএম-ও। আর এখানেই চিনের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।
এক উচ্চপদস্থ ব্যাঙ্ক আধিকারিকের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, এটিএম-এর নতুন যন্ত্রাংশ এবং নতুন এটিএম কেনার ব্যাপারে প্রতিবেশী দেশ চিনের উপরেই প্রধানত নির্ভর করা হচ্ছে। অর্থাৎ নতুন এটিএম ও তার যন্ত্রাংশ কেনা হবে মূলত চিনের কাছ থেকে। এতে চিনের ব্যবসায়ীদের মুখে যেমন হাসি ফুটছে, তেমনই চিনে বৈদেশিক মুদ্রা আগমনের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কার্যত দেখা যাচ্ছে, ভারতে নোট বাতিলের পরোক্ষ সুবিধা পেতে চলেছে চিনও।
মন্তব্য চালু নেই