আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাই: মালালা
এর আগে চিকিৎসক হওয়ার কথা বলেন মালালা। এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চান মালালা। পাকিস্তানের নারী আন্দোলনকর্মী ও শান্তিতে সর্বকনিষ্ঠ নোবেলবিজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ে জানান নতুন ইচ্ছার কথা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় গতকাল বুধবার এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এমনটাই জানালেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পরিবর্তিত হয়েছে। পাকিস্তানের সব সমস্যার সমাধান ও মেয়েদেরকে শিক্ষার আওতায় আনতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই।’
অনুষ্ঠানে মালালা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা, রোল মডেল ও পুরুষের ভূমিকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
মালালা বলেন, আমার অত্যন্ত কাছের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে স্মরণ করছি; যার মাত্র ১১ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছে। সে বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। আমি আরো
অনেক নারীকে স্মরণ করছি, যারা তালাকপ্রাপ্ত অথবা স্বামী মারা যাওয়ার পর পিতা এবং ভাইয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
ক্ষুদে এই নোবেলজয়ী বলেন, ‘এ কারণেই আমি মনে করি; মেয়েদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার অর্থ শুধুমাত্র বই পড়ে পরীক্ষায় পাস করে চাকরি পাওয়া নয়। এটি নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাধীনতা ও বেড়ে উঠার জন্য দরকার। স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে তাদেরকে স্বাধীনতা দেয়া’।
‘শিক্ষা ছাড়া দ্বিতীয় কিছুর জন্য আমি নিজেকে কল্পনা করতে পারি না। মেয়ে ও নারীদের জন্য শিক্ষা সবচেয়ে অপরিহার্য। আমাদের সীমার বাইরে স্বপ্ন দেখতে নারীদেরকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। এ জন্য আমাদের রোল মডেল দরকার’।
শৈশবের ভাবনা বিষয়ে মালালা বলেন, ‘আমি যখন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়তাম তখন ভাবতাম, বড় হয়ে হয়তো ডাক্তার, শিক্ষক বা অন্যকোনো গৃহকর্ম করব। কিন্তু যখন আমি নারী রোড মডেলদের দেখলাম, তখন আমার চিন্তা-চেতনার প্রসার ঘটল। বেনজির ভুট্টোর মতো একজন নারী নেত্রীকে পাকিস্তানের ক্ষমতার মসনদে দেখলাম।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসকের স্ত্রী ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের শিশু শরণার্থী বিষয়ক আইনজীবী শেইখ জাওয়াহের বিনতে মোহাম্মদ আল কাশিমির প্রশংসা করেন। মালালা বলেন, শেইখ জাওয়াহের একজন রোল মডেল। যিনি নারী ও শিশুদের পরিবর্তনের জন্য শুধুমাত্র স্থানীয়ভাবেই নন, বিশ্বব্যাপী কাজ করছেন।
উগ্রবাদীদের আক্রমণে মারাত্মক জখম হয়েও বেঁচে যাওয়া বর্তমানে ১৯ বছর বয়সী মালালা উচ্চ মাধ্যমিক শেষ বর্ষে পড়ছেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে পড়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম খালিজ টাইমস।
মন্তব্য চালু নেই