পামেলার দেয়া বিষে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নিহত!

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ গোপন নথি ফাঁসকারী উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মার্কিন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। এ হত্যার মিশনে জড়িত আমেরিকার বিখ্যাত মডেল ও অভিনেতা পামেলা অ্যান্ডারসন। রোববার ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ ‘বিচ্ছিন্ন’ করে দেয়ার পর এ খবর প্রকাশ পায়। সোমবার উইকিলিকসের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে করা তিনটি টুইট থেকেই তাকে হত্যা করার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে বলে দাবি অনেকের।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নির্দেশে অ্যাসাঞ্জকে স্যান্ডউইচের মধ্যে বিষ মিশিয়ে হত্যা করেছেন পামেলা। ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, শনিবার পামেলাকে যুক্তরাজ্যের ইকুয়েডর দূতাবাসের পাশে ‘প্রিট এ ম্যানেজার’ শপ থেকে স্যান্ডউইচ কিনতে দেখা গেছে। সেই ছবি প্রকাশ করে অনেক অ্যাসাঞ্জভক্ত তার মৃত্যুতে পামেলাকে অভিযোগ করে টুইট করেছেন।

এছাড়া অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ইকুয়েডর দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হতে পারে বলেও অনেকেই আশংকা করেছেন। টুইটারে অনেকেই দাবি করছেন, যে কোনো অভিযানের পূর্বে সেখানকার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

অনেকের দাবি, উইকিলিকসের টুইটে প্রকাশিত তিনটি কোডের মধ্যে ‘ডেড মেনস সুইচ’ বা ‘ডেড মেনস কি’ যার অর্থ হচ্ছে, অ্যাসাঞ্জ নিহত। তবে তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক অনলাইন গিজমোডো বলছে, উইকিলিকসের কোড করা ওইসব টুইটে অ্যাসাঞ্জ মারা গেছেন বলে তথ্য দেয়া হয়নি। গিজমোডোর দাবি, এ কোড মেসেজে আগামী দিনে ফাঁস হওয়া নথিগুলো অপরিবর্তিত রাখার বার্তা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।



মন্তব্য চালু নেই