বার বার মেয়ে হওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা
ভারতে বার বার কন্যাসন্তান জন্ম দেয়ায় স্ত্রীকে কাস্তে দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন এক বর্বর স্বামী। ঘাতক বাজিরাও ওয়াগমারে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। তিনি পুলিশের কাছে স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার মহারাষ্ট্র রাজ্যের সোলাপুর জেলার বোরালে গ্রামে এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, ঘটনার দিন ওয়াগমারে এবং তার স্ত্রী রানি(৩০) বরাবরের মত তাদের দুই মেয়েকে নিয়ে দোতলা বাড়ির ওপর তলার কামরায় ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাদের এক মেয়ে ঘুম থেকে ওঠে তার মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। সে তখন তার দাদা দামোদরকে ডেকে আনে। দামোদর ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পুলিশ এসে ওয়াগমারেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃত বাজীরাও একজন শিক্ষিত এবং অবস্থাপন্ন কৃষক। স্থানীয় আদালত পাঁচ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাকে রিমান্ডে দিয়েছেন।
ওয়াগমারে এবং রানির বিয়ে হয়েছিল ২০০৪ সালে। তাদের পাঁচটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বার বার মেয়ে হওয়ায় রানির প্রতি খুশি ছিলেন না ওয়াগমারে। ছেলের জন্য গত পাঁচ বছর ধরে সে স্ত্রীকে অত্যাচার করছিলেন বলে রানির ভাই অভিযোগ করেছেন।
গ্রামবাসীরা বলছেন, রানি গর্ভবতী ছিলেন। তিনি ষষ্ঠবারের মত কন্যা সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন এ কথা জানার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওয়াগমারে। তিনি রানিকে গর্ভপাত করাতে বলেন এবং এতে রাজী না হওয়ায় তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।
তবে শোলাপুর জেলার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বারবার কন্যা সন্তান জন্ম দেবার কারণেই ওই নারীর স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করেছেন। তবে হত্যার সময় ওই নারী গর্ভবতী ছিলেন এ খবর সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, ভারতে দম্পতিদের মধ্যে ছেলে সন্তানের চাহিদা প্রবল। এ কারণেই দেশটিতে মেয়ে-ভ্রুণ হত্যা একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। মহারাষ্ট্রে ভ্রুণের লিঙ্গ-নির্ধারণী ডাক্তারি পরীক্ষা আইনত নিষিদ্ধ হলেও বাস্তবে তা ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
মন্তব্য চালু নেই