ফোন না ধরায় স্ত্রীকে তালাক!
স্ত্রী ফোন ধরেননি এবং তার মোবাইল ম্যাসেজের উত্তরও দেননি। এই অপরাধে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন এক সৌদি স্বামী। স্থানীয় ‘আল ওয়াম’ পত্রিকার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।
ত্রিশ বছর বয়সী ওই স্বামীর অভিযোগ, তার স্ত্রী সারাক্ষন ব্যস্ত থাকতেন তার স্মার্টফোন নিয়ে। কথা বলতেন বন্ধু-বান্ধব আর নিজের আত্মীয়দের সঙ্গে। স্বামী ফোন করলে প্রায়ই তা ধরেতেন না। ঘর-সংসারের কাজকর্ম তো দূরের কথা, একমাত্র সন্তানকেও ঠিকমত দেখভালের সময় হত না তার। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই।
শেষে তিতিবিরক্ত হয়ে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই সৌদি স্বামী। তিনি আরো বলেন, স্বামী-সন্তানের চেয়ে তার স্ত্রীর কাছে স্মার্টফোন ছিল বেশি আপন। দিনের অধিকাংশ সময় সে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকত। তার এই নেশা কাটানোর অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন ওই স্বামী।
অন্যদিকে স্ত্রী বলছেন, স্মার্টফোনটি তার কোনো শেখিনতা নয, অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেননা এর মাধ্যমে তিনি তার পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।
সম্প্রতি অফিস থেকে বাসায় ফোন করেন ওই ভদ্রলোক। কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো সাড়া নেই। শেষে নিজের আইফোন থেকে ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন। এরও কোনো উত্তর নেই। তিনি এতে বিচলিত হয়ে পড়েন । ভাবলেন, কোনো দুর্ঘটনা হলো নাতো। শেষে কাজ ছেড়ে ছুটে গেলেন বাড়িতে। গিয়ে দেখেন, স্ত্রী দিব্যি লিভিংরুমে বসে টিভি দেখছেন।
তিনি তখন কৈফিয়ত চাইলেন। উত্তরে স্ত্রী বললেন, তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলায় ব্যস্ত ছিলেন। এজন্য তার ফোন ধরা এবং ম্যাসেজের উত্তর দেয়া সম্ভব হয়নি। এতে ক্ষেপে গিয়ে দু বছরের বিবাহিত জবিনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন ওই স্বামী।।
সৌদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এ নিয়ে নানাজনে নানা মন্তব্য করেছেন। তবে অধিকাংশ ইউজার এ বিষয়ে একমত, দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং যুক্তিযুক্তভাবেসমস্যামোকাবেলাকরতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে অনেক সংসার ভেঙে যাচ্ছে। মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সৌদিআরবে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি। তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণে দেশটিতে বিয়ে ভেঙে যায়।
মন্তব্য চালু নেই