রমজানে তীব্র যানজটে জনদুর্ভোগ চরমে

রমজানের দ্বিতীয় দিন বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটে জনদুর্ভোগ বেড়েছে।

যানজটের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি অনেকে। আবার অনেকে যানজট এড়াতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে বসে না থেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাত্রা শুরু করেন।

যানজটের কারণে দুর্ভোগে পড়া মানুষের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় রমজান মাসেও যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাজধানীতে যানজট এড়াতে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বুধবার দুপুর থেকে রাজধানীর নতুনবাজার, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, কাকরাইল, পল্টন, গুলিস্তান, প্রেসক্লাব, শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, মহাখালী ও বনানীতে তীব্র যানজট দেখা গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে বসে ছিলেন লাখ লাখ মানুষ।

দুপুর ১টায় মালিবাগ থেকে বারিধারা যাওয়ার উদ্দেশে গাড়িতে ওঠেন ইকবাল হোসেন। ৪৫ মিনিট একই স্থানে গাড়িতে বসে বিরক্ত হয়ে হেঁটে গন্তব্যে যাত্রা শুরু করেন তিনি।

তিনি বলেন, সকাল থেকে রস্তায় যানজট কম থাকলেও দুপুরের পর থেকে অসহনীয় রূপ নিয়েছে। মালিবাগ থেকে কুড়িল বিশ্বরোডের রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িগুলো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল।

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, রমজানের শুরুতে যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে বাকি দিন পার হবে কীভাবে?

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘসময় রাস্তায় গাড়িগুলো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসায় অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে দিকে যাচ্ছেন।

এদিকে গতরাতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হওয়ায় মালিবাগ এলাকার রাস্তাগুলোতে হাঁটুসমান পানি জমে আছে। এ কারণে রাস্তা দিয়ে বেশি গাড়ি চলাচল সম্ভব হচ্ছে না।

পল্টন হয়ে শাহবাগ, কারওরানবাজার, ফার্মগেট এলাকায় পুরো রাস্তা জুড়ে থেমে থেমে গাড়ি চলেছে প্রায় সারা দিন।

কারওরানবাজার এলাকায় তীব্র যানজটে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হাঁটা শুরু করেছেন আবু নাসের (৫২)। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহপুর যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠেছিলাম। ২ ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় বসে ছিলাম। রোজা রেখে একই জায়গায় বসে থাকতে বিরক্ত লাগে। তাই পায়ে হেঁটে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করছি। দেখি ইফতারের আগে কতটুকু যাওয়া যায়!



মন্তব্য চালু নেই