গোখরোর সঙ্গে প্রেম!
বিষধর প্রাণী গোখরো সাপের কথা শুনলে বাচ্চারা তো বটেই, বড়দেরও প্রাণ যাওয়ার দশা। কিন্তু ১১ বছরের ভারতীয় এক মেয়ে বিপজ্জনক গোখরোদের দিব্যি বন্ধু বানিয়ে ফেলেছে! কাজল খান নামের মেয়েটির খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে ঘুমানো পর্যন্ত গোখরোর সঙ্গে। বিষধর সাপগুলোর সঙ্গে তার মিতালির গভীরতা এত ব্যাপক যে সাপগুলোর গায়ে আঘাত করলেও তাকে কামড়ায় না।
ভারতের উত্তর প্রদেশের ঘাটামপুরে কাজলের বাস। ছোট্ট কাজলের বক্তব্য, ‘গোখরোগুলোর সঙ্গে আমি অনেক মজা করি। ওরা কামড়ালে ব্যথা লাগে, কিন্তু মাঝে মাঝে এটা আমার দোষেই হয়। কারণ আমি ওদের পেছনে লাগি। এটা খুবই মজার।
কাজলের বাবা তাজ মোহাম্মাদ (৫০) একজন সাপুড়ে। ৪৫ বছর ধরে তিনি এই পেশায় আছেন। বড় ছেলে গুলাব (৩১) বাবার যোগ্য সহকারী। পরিবারের সব চেয়ে ছোট কাজলও তাদের এই পারিবারিক পেশার ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহী।
তার মুখেই শোনা গেল, ‘স্কুলে যেতে ভালো লাগে না। সাপ নিয়ে কাজ করতেই আমার ভালো লাগে।’ মাঝে মাঝে এই অস্বাভাবিক বন্ধুত্বের মূল্য দিতে হয় কাজলকে। এজন্য তাকে পেট, থুতনি ও বাহুতে কামড় খেতে হয়েছে। একবার বেশ অসুস্থ হয়েও পড়েছিল সে। কিন্তু এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ।
তবে কাজলের মা সালমা বানু চান না, মেয়ে এ রকম সাপ নিয়ে পড়ে থাকুক। বাড়ির ছোট মেয়েটি ব্যাগে করে সাপ নিয়ে যাওয়ার জন্য স্কুল থেকে আগেই বহিষ্কার হয়।
সালমা বানুর বক্তব্য, ‘আমি চাই, অন্যদের মতো সে স্কুলে যাক। যদি আমার কোনো উপায় থাকত, তাহলে সাপ থেকে ওকে দূরে রাখতাম। কিন্তু সে (কাজল) ওদের খুব ভালোবাসে। তাই আমি ওকে কষ্ট দিতে চাই না।’
কাজল এখন পড়াশোনা বাদ দিয়ে গোখরোদের নিয়ে থাকে। তাদের সঙ্গে কাজলের গলায় গলায় ভাব। সারাক্ষণ তাদের সঙ্গে খেলছে, কাঁধে নিয়ে ঘুরছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে এখানে-ওখানে যাচ্ছে।
সাপের সঙ্গে তার বয়সি কোনো মেয়ের এত ভাব হতে পারে, তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন! বিশ্ব মিডিয়াতে এ ব্যাপারে আগেও অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল।
মন্তব্য চালু নেই