মায়ের পরকীয়া মেনে নিতে পারেনি ছেলে, তাই প্রেমিককে খুন

মায়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক মানতে না পারায় সায়েম টেক্সটাইলের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এজিএম) মনিরুল ইসলামকে তুলে নিয়ে খুন করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন আটক মুরসালিন (২৭)।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুরসালিন জানিয়েছেন, তার মায়ের সঙ্গে মনিরুল ইসলামের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাই স্থানীয় চার সহযোগীকে নিয়ে ১৭ মে খিলগাঁও নন্দীপাড়া ব্রিজের পূর্বপাশ থেকে মনিরুল ইসলামকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে হত্যা করা হয়।

তবে কোথায় হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি ডিবি।

হত্যাকাণ্ডের পর মনিরুল ইসলামের ব্যবহৃত দু’টি মোবাইল ফোন পাশের একটি খালে ফেলে দেয়া হয় বলে জানান তিনি।

ঘটনায় ১৮ মে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার তদন্তভার পেয়ে ডিবি মুরসালিনকে আটক করে। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে শাকিল, আকাশ, আশিক ও জুয়েল নামের আরো ৪ যুবককে আটক করে ডিবি।

এ হত্যাকাণ্ডের সাথে তারা যে সম্পৃক্ত তা ডিবির কাছে স্বীকার করেছে বলে জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।

উল্লেখ্য, ১৮ মে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও থেকে সায়েম টেক্সটাইলের এজিএম মো. মনিরুল ইসলামের (৩৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই