ওবামার সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

একের পর এক বিতর্কিত বিল উত্থাপনসহ অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে বেশ কিছু দিন ধরেই দুঃসময় যাচ্ছিল ওবামা প্রশাসনের। এসব কারণে তাঁর জনপ্রিয়তায়ও ধস নামছিল। সব মিলিয়ে বেশ নাজেহাল অবস্থা পার করছিলো ওবামার দল ডেমোক্রেটরা। সর্বশেষ আবার মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো এসে পড়ল অন্তবর্তী নির্বাচনের ফলাফল।দুই কক্ষবিশিষ্ট মার্কিন পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে আগে থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধীদল রিপাবলিকানরা। এবার ষোলকলা পূর্ণ হলো, অন্তবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে উচ্চকক্ষ সিনেটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলো রিপাবলিকানরা।

উভয় কক্ষে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে বিভিন্ন বিল পাস করতে হলে আগামীতে বেশ বেগ পেতে হবে। ওবামাকে এখন রীতিমতো হিসাব কষে পা ফেলতে হবে। রিপাবলিকান দলের নীতি বিরোধেী কোনা কাজ করা প্রায় অসম্ভব হবে ওবামার জন্য।

সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে রিপাবলিকানদের প্রয়োজন ছিলো মাত্র ছয়টি আসন। প্রাথমিক ফলাফলে জানা যায়, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ছয়টি আসনের পাশাপাশি সিনেটে এখন রিপাবলিকানদের সংগ্রহে রয়েছে ৫২টি আসন। সিনেটের মোট আসন সংখ্যা ১০০।

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বারাক ওবামার জনপ্রিয়তা এখন সবচেয়ে কম। এজন্যে মধ্যবর্তী নির্বাচনী প্রচারণার পুরোটা সময়জুড়ে ডেমোক্রেট প্রার্থীদের লড়াই করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত যে ফলাফল এসেছে তা হতাশাজনক।

সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি সত্বেও ওবামার জনপ্রিয়তা ৪০ শতাংশে নেমে যাওয়ায় মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের জয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছে অনেক বিশ্লেষক।

এ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্রেট পার্টির কাছ থেকে রিপাবলিকানদের কাছে চলে এসেছে। এর ফলে এখন সিনেটের প্রতিনিধিত্ব করবেন রিপাবলিকান ম্যাকোনেল।

প্রতিনিধি পরিষদে ইতোমধ্যেই রিপাবলিকানরা নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে রাখায়, সিনেটেও তাদের জয়ের ফলে ওবামার মেয়াদের শেষ দুই বছরের জন্য তার সব সিদ্ধান্তে বাধ সাধার ক্ষমতা পেয়ে যাবে বিরোধীরা।

এতে আগামী দুই বছর ওবামাকে কংগ্রেসে প্রস্তাব পাস করানোর ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে নিশ্চিত করে বলা যায়।



মন্তব্য চালু নেই