নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তেজগাঁও এলাকা, ভারী শিল্প নিষিদ্ধ
তেজগাঁও শিল্প এলাকাকে শিল্প কাম বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় রূপান্তর করে একটি অত্যাধুনিক ঢাকা গড়ে তোলা হবে। আর এ এলাকায় কোনো স্থাপনা নির্মাণে মাস্টার প্ল্যান অনুসরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে এ এলাকায় ভারী কোনো শিল্প স্থাপনে অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
রোববার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তেজগাঁও শিল্প এলাকাকে শিল্প কাম বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় রূপান্তরের মাস্টার প্ল্যান পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে প্রতিটি ভবনের নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা থাকবে। এ এলাকায় কাজের জন্য আগত বা অতিথিদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য পৃথক পার্কিং ভবন নির্মাণ করা হবে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রিত প্লটগুলোতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে।’
এ এলাকায় কোনো ভারী ও শ্রমঘন শিল্প স্থাপনে অনুমতি দেয়া হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি প্লটে শিল্প, বাণিজ্যিক, হোটেল, হাসপাতাল, ইত্যাদি স্থপনা নির্মাণ করা হলে পয়ঃবর্জ্য, রাসায়নিক বর্জ্য ও বায়ুপরিশোধনের নিজস্ব ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ এলাকার মাস্টার প্ল্যানের বিভিন্ন সুপারিশ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে তেজগাঁও শিল্প মালিক কল্যাণ সমিতিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ সমিতি কোনো বিষয়ে ত্রুটি দেখলে তা রাজউককে অবহিত করবে।’ তবে তেজগাঁও এলাকায় থাকা ভারী শিল্পগুলোর কি হবে সে বিষয়ে কোনোকিছুই জানাননি মন্ত্রী।
সভায় মাস্টার প্ল্যানের বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে গৃহীত সুপারিশমালা চূড়ান্ত করা হয়। এ সুপারিশমালা অতিদ্রুত প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানানো হয়।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউক চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত সচিব এম বজলুল করীম চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান মুন্সী, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ফওজী বিন ফরিদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জ্যোর্তিময় দত্ত, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলামসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই