ভিডিও দেখে অভিনেত্রীকে ধর্ষণের হুমকি
শহরের রাস্তায় মেয়েরা কতটা নিরাপদ? সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পথে বের হয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু ব্যতিক্রমধর্মী এ কাজের সময় টিকা-টিপ্পনি-অশ্লীল মন্তব্য হজম করা ছাড়াও তার জুটল ধর্ষণের হুমকিও।
দিল্লি-মুম্বাই-চেন্নাই-কলকাতা বা ঢাকা নয়, শহরের নাম নিউ ইয়র্ক।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, সারা বিশ্বে গণপরিবহণ ব্যবহারকারী মহিলারা সবচেয়ে নিরাপদ বোধ করেন যুক্তরাষ্ট্রে। অর্থাৎ; সে দেশের রাস্তা-ঘাটে নারীর শ্লীলতাহানির সম্ভাবনা যথেষ্ট কম।
বিষয়ে নিশ্চিত হতে বাস্তভিত্তিক পরীক্ষায় নামেন অভিনেত্রী সোশানা বি রবার্টস। কিন্তু সেই পরীক্ষায় উঠে আসল ভিন্ন চিত্র।
নিউ ইয়র্ক সিটির রাস্তায় কয়েক দিন ধরে মোট ১০ ঘণ্টা হেঁটে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন রবার্টস। তার সামনে হেঁটে যাওয়া সঙ্গীর ব্যাকপ্যাকে রাখা গোপন ক্যামেরায় উঠে এসেছে সেই ছবি।
সারাক্ষণ মুখ বন্ধ করে রাখলেও নানা অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, টিপ্পনি এমনকি সরাসরি কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে রবার্টসকে। দিয়েছেন পথচলতি মানুষ বা রাস্তার ধারে বসে থাকা নিউ ইয়র্কের কোনো বাসিন্দা, বা পাশের হোেটলের কর্মচারীরা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘যখন হেসেছি, তখন উত্যক্ত করা হয়েছে, আবার গম্ভীর থাকলেও একইভাবে বিরক্ত করা হয়েছে আমাকে। উত্যক্তকারীদের তালিকায় রয়েছেন সাদা-কালো-ল্যাতিন আমেরিকান পরুষরা। এমন কোনো দিন যায়নি যখন এই অভিজ্ঞতা হয়নি।’
রবার্টসের অভিজ্ঞতা ক্যামেরাবন্দি করে গত মঙ্গলবার ইউটিউবে প্রকাশ করে রাস্তায় নারী হেনস্তা বিরোধী সংগঠন ‘হোলাব্যাক’। এবং তারপরই নতুন বিপদের মুখে পড়েছেন রবার্টস। হোলাব্যাক-এর তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হয়, ভিডিওতে দেখার পর ওই অভিনেত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
হোলাব্যাক-এর প্রধান নির্দেশক এমিলি মে জানিয়েছেন, ‘ধর্ষণের হুমকি থেকেই বোঝা যাচ্ছে, আমরা সঠিক জায়গায় আঘাত করেছি। তবে এতেই থামতে চাই না। নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাদের আমরা জানাতে চাই, এই শহরে মেয়েরা আদৌ নিরাপদ নয় এবং এই অব্যবস্থা যে করে হোক বন্ধ করতে হবে।’
আর সোশানা রবার্টস? হুমকিতে ঘাবড়ে যাওয়ার পাত্রী নন তিনি। উল্টে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে জনচেতনা বৃদ্ধিতে এমন কাজ আবার করতে তিনি রাজি।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মন্তব্য চালু নেই