এবার জাতিসংঘ মহাসচিব পদে লড়বেন ৪ নারী
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের মেয়াদ এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত হলেও এ পদে পরবর্তীতে কে আসছেন তা নিয়ে আলোচনার যেন শেষ নেই। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে এই নিয়ে তুমুল আলোচনা। আর মহাসচিব পদের এ দৌড়ে নতুন প্রচারাভিযানে আবেদন বাড়ছে নারীদের।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন এলিজাবেথ ক্লার্ক জাতিসংঘ মহাসচিব পদের জন্য প্রার্থী হবার ঘোষণা দিয়েছেন। বিবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নির্বাচিত হলে জার্মানি, জাপান, ব্রাজিল এবং ভারতকে স্থায়ী সদস্য পদ দিয়ে তিনি নিরাপত্তা পরিষদের আমূল সংস্কার করতে চান।
এছাড়া একুশ শতকের বাস্তবতা মাথায় রেখে আফ্রিকার দুটি দেশকেও নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পদ দেয়া যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন। মিস ক্লার্ক বর্তমানে সংস্থাটির উন্নয়ন কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
হেলেন এলিজাবেথ ক্লার্ক ১৯৫০ সালে নিউজিল্যান্ডের হ্যামিলটন শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। লেখাপড়া করেছেন অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
এছাড়া আরো তিন নারী জাতিসংঘের মহাসচিব প্রার্থী হতে আগ্রহী। এরা হলেন ইউনেসকো’র বুলগেরিয়ার প্রধান আইরিনা বোকোবা, ক্রোয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেসনা পিউসিক, মলদোভার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাটালিয়া ঘেরমান। এদের মধ্যে যে কেউ নির্বাচিত হয়ে বান কি-মুনের স্থলাভিসিক্ত হলে তিনি হবেন জাতিসংঘের প্রথম নারী মহাসচিব।
নারী মহাসচিব নির্বাচন নিয়ে নতুন প্রচারাভিযানের নেতৃত্বে থাকা ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার জেন ক্রাসনো বলেন, “এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের ৮ জন পুরুষ প্রার্থী আছে। কিন্তু কোনো নারী নেই।” আমার মনে হয়, “এবার নারী নেতৃত্ব নিয়ে আসার সময় হয়েছে।”
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৯৪৬ সালের জানুয়ারিতে গৃহীত প্রস্তাবনা অনুযায়ী, মহাসচিব পদে আসীন হতে পারেন “বিশিষ্ট এবং খ্যাতিমান একজন পুরুষই”।
কিন্তু এবার অনেকেই এ পদে দেখতে চাইছেন একজন নারীকে। অতীতে অবশ্য এ পদের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের বাছাই প্রক্রিয়ায় রুদ্ধদ্বার ভোটে ঠাঁই পেয়েছিলেন তিন নারী প্রার্থী। কিন্তু এবার পরবর্তী জাতিসংঘ মহাসচিবের পদটি যেন একজন নারীই পান তা নিশ্চিত করার প্রচারাভিযান শুরু হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই