ধর্ষকেই বিয়ে করলেন কিশোরী
যাঁর ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে আড়াই বছর গরাদের ওপারে কাটিয়েছেন ইউসুফ (নাম পরিবর্তিত), জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার দিনই তাঁকে বিয়ে করলেন। এতে যথেষ্ট খুশি দুই পরিবারও। এই উপলক্ষে তারা বিরাট খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনও করেন। মাঝে খানিকটা তাল কেটে গেলেও আপাতত ব্যাপারটি যেন, ‘মধূরেণ সমাপয়েত্’।
ঘটনা শুরু হয় ২০১৩-য়। বিহার থেকে কাজের খোঁজে আমদাবাদ আসে ইউসুফ। সহৃদয় রহমান ভাইয়ের (নাম পরিবর্তিত) কারখানায় কাজও জুটে যায় তার। কাজের সঙ্গে আস্তানারও জোগাড় করে দেন রহমান। কয়েক মাস কাজ করতে করতে রহমানের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় ইউসুফের। ক্রমে তা গড়ায় শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত। কিন্তু খবর কানে পৌঁছে যায় রহমানের। তিনি ইউসুফকে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন।
ইউসুফও রাজি হয়ে যায়। তবে তিনি বলেন, বিয়ের আগে পরিবারের অনুমতি প্রয়োজন। তা পরিবারের মত নিতে হবে তাকে। তবে এই ঘটনার পরদিনই কাউকে কিছু না জানিয়ে মুম্বাইয়ে পালিয়ে যায় সে। ইউসুফকে বাড়িতে না দেখে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন রহমান। সে বছরই আগস্ট মাসে ইউসুফকে মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পোস্কো অ্যাক্টে তার বিরুদ্ধে মামলাও চলে প্রায় আড়াই বছর।
তবে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। শেযে দুই পরিবারের মত নিয়ে এবং আদালতের নির্দেশ মতো বিয়েতে রাজি হয়ে যায় ইউসুফ। ১১ ফেব্রুয়ারি জেল থেকে ছাড়া পায় সে, এবং সেদিনই ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে যায় ইউসুফের।
মন্তব্য চালু নেই