যুক্তরাষ্ট্রে ফের স্কুলে গুলি, নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের এক স্কুলছাত্রের গুলিতে এক ছাত্রী নিহত এবং আরো চারজন আহত হয়েছে। পরে হামলাকারী নিজেও আত্মহত্যা করেছে বলে বিবিসি ও রয়টার্স জানিয়েছে।। শুক্রবার ওয়াশিংটনের মেরিসিস্ভাইল পিলচুক হাইস্কুলে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
শুক্রবার লাঞ্চব্রেকের সময়ওই হামলাকারী বন্দুক নিয়ে স্কুলের ক্যান্টিনে প্রবেশ করে। তার নাম জেয়লিন ফ্রাইবার্গ এবং সে ওই স্কুলেরই ছাত্র । সে ক্যান্টিনের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি টেবিলের ওপর দাঁড় করিয়ে তাদের পিঠ লক্ষ্য করে গুলি করে। সবমিলিয়ে ছয়বার গুলি চালায় ঘাতক। এতে তারই এক সহপাঠিনী নিহত হয়। আহত হয় আরো দুই ছাত্র ও দুই ছাত্রী। এর মধ্যে দু জন ফ্রাইবার্গের নিকটাত্মীয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। হতাহতদের সবার বয়স আটারোর নিচে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
এই হামলার ঘটনায় গোটা স্কুলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ছাত্র ছাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে স্কুল থেকে বেরিয়ে আসছে। অনেকে আবার প্রাণভয়ে ক্যান্টিনের টেবিলের তলায় আশ্রয় নেয়।
তবে হামলার কয়েক মিনিট পর নিজের বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করে ফ্রাইবার্গ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার কারণ জানা যায়নি।প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে হামলার এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়। এর আগে ২০১২ সালে নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে ৬০ মাইল উত্তর-পূর্বের শহর নিউ টাউনে স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে এক ২০ বছর বয়সী তরুণের গুলিতে ২০ স্কুল শিশুসহ ২৮ জন নিহত হয়েছিল।
এটি ছিল মার্কিন মুল্লুকে কোনো বন্দুকধারীর উন্মত্ত হামলায় হত্যার দ্বিতীয় বড় ঘটনা। এর আগে ২০০৭ সালে ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে এক ছাত্রের গুলিতে ৩২ জন নিহত হয়েছিল।
মন্তব্য চালু নেই