২০ কোটি পেসো ঘুষ সাধা হয়েছিল সো গোকে
ফিলিপাইনের ব্যবসায়ী উইলিয়াম সো গোকে ঘুষ সাধার অভিযোগ তদন্ত করছে সেই দেশের ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংক (ইডব্লিউবি)। এ ব্যাংকটির গ্রাহক সেঞ্চুরিটেক্স ট্রেডিংয়ের কর্ণধার উইলিয়াম সো গো অভিযোগ করেছেন, ওই ব্যাংকের একজন শাখা ব্যবস্থাপক তাঁকে ২০ কোটি পেসো ঘুষ দিয়ে প্রলোভিত করার চেষ্টা করেছিলেন। এ জন্য তাঁকে (উইলিয়াম সো গো) রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোর সঙ্গে একটি বিষয়ে সমঝোতায় আসতে হবে। দেগুইতো এর আগে ইডব্লিউবির শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। খবর ইনকোয়েরারের।
উল্লেখ্য, মায়া সান্তোস দেগুইতোর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে ফিলিপাইনের সিনেটে শুনানি চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ ফিলিপাইনের আরসিবিসির মাকাতি শহরের জুপিটার স্ট্রিটের শাখায় সরিয়ে ফেলা হয়। এ শাখারই ব্যবস্থাপক হলেন মায়া সান্তোস দেগুইতো।
সিনেটের শুনানিতে উইলিয়াম সো গো সাক্ষ্য দেন যে, তাঁকে ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংকের বনিফেসিও গ্লোবাল সিটি শাখার ব্যবস্থাপক অ্যালান পেনালোসা প্রথমবারের মতো দেগুইতোর সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব করেন। এ জন্য তাঁকে (উইলিয়াম সো গো) ২০ কোটি পেসো ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। ঘুষের প্রস্তাব সম্পর্কে পেনালোসা জানান, তিনি পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারবেন না, দেগুইতোই বিস্তারিত বলবেন।
সিনেটে দেওয়া উইলিয়াম সো গোর দেওয়া সাক্ষ্য অনুযায়ী, এটা হলো সেই বৈঠক, যেখানে দেগুইতো তাঁর (সো গো) নামে ব্যাংক হিসাব খোলার কথা স্বীকার করেন। সো গো শুনানিতে বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সেরেন্দ্র এলাকার মেরি গ্রেস রেস্টুরেন্টে ওই বৈঠকটি হয়েছিল। শুনানিতে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, এ প্রক্রিয়ায় পেনালোসার ভূমিকা কী ছিল? জবাবে সো গো বলেন, ‘আমার কোনো ধারণা নেই।’
তিনি শুনানিতে প্রবলভাবে অস্বীকার করেন যে ওই ব্যাংক হিসাবটি তাঁর নয়, যা গত ৫ ফেব্রুয়ারি রিজাল ব্যাংকে তাঁর নামে ইউএস ডলার হিসাবে খোলা হয়েছে এবং একই দিনে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংক গত বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অ্যালান পেনালোসার মাধ্যমে মায়া দেগুইতো ও উইলিয়াম সো গোর মধ্যে বৈঠক আয়োজন সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। পেনালোসার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা একজন ব্যাংক কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
তারপরও আমরা এ অভিযোগের তদন্ত করব এবং ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের আগে মায়া সান্তোস দেগুইতো ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংকে শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। যেহেতু উইলিয়াম সো গো ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংকের গ্রাহক, তাই এর আগেও একাধিকবার তাঁদের দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই