হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার কবলে এশিয়া : মৃত্যু, সতর্কতা

যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড পরিমাণ তুষার পাতের পর এবার এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে তাপমাত্রা কমে এসেছে আশঙ্কাজনক হারে। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় তাইওয়ানে ইতিমধ্যে ৮৫ জন মানুষ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আরও কয়েকটি দেশে মানুষ হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত। ঠাণ্ডার দাপটে ভ্রমণ ব্যাহত হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ স্থবির হয়ে আটকা পড়েছেন বিমানবন্দরে। সতর্কতা দিয়ে মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়াতে, গত শনিবার থেকে ১২শ’ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে। এতে করে প্রায় ৯০ হাজার যাত্রী বিপাকে পড়েন। রাজধানী সিউলে তাপমাত্রা গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চীনে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা সংকেত হিসেবে ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। চীনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিছু কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা আরও কম। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ১২ হাজার যাত্রী চীনের কুনমিং বিমানবন্দরে যাত্রা বিরতির মুখে পড়েছেন।

এদিকে হংকংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠাণ্ডার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সতর্কতা হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

তাইওয়ানে কয়েকটি স্থানে হাইপোথার্মিয়ায় ৮৫ মারা যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ মানুষদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। জাপানও ঠাণ্ডার কবল থেকে মুক্তি পায়নি। এমনকি সেখানকার কয়েকটি দ্বীপে বহুদিন বাদে তুষারপাত পর্যন্ত হয়েছে। কমপক্ষে ৩ জন ঠাণ্ডায় মারা গেছেন এবং ৯০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই