২০ বছর নিজের মেয়েকেই লাগাতার ধর্ষণ, পিতার ৭ সন্তান মেয়ের পেটে!

নিজের মেয়েকেই ২০ বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণ করার মতো ঘৃণ্য ঘটনা প্রকাশ্যে এল। মহিলা নিজের বয়ানে জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে তিনি ৭ বার সন্তান প্রসব করেছেন। তাঁর বাবা-ই সেই তাঁর সব সন্তানের পিতা। ভারতীয় বেশ কিছু গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে আর্জেন্তিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে। নির্যাতিতা মহিলা অসুস্থ এক সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে যান চেকআপের জন্য। সেখানেই এই গটনা সামনে আসে। চিকিত্‍সক তাঁকে সন্তানের বাবার নাম জিজ্ঞাসা করলে ওই মহিলা জানান, তাঁর নিজের বাবা-ই তাঁর সন্তানের পিতা। এর পর সেই চিকিত্‍সকের সামনে গত ২ দশকের যন্ত্রণার অধ্যায় মেলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘যখন আমার বয়স ৯ সে সময় আমি মা-কে হারাই। তার পর থেকেই আমার ওপর শারীরিক অত্যাচার শুরু করেন আমার বাবা। তিনি আমায় বলেন, এখন থেকে আমাকেই তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী-র ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি প্রথমে রাজি না হওয়ায় আমায় প্রচণ্ড মারধর করেন তিনি। এর পর থেকে প্রতি রাতে শুরু হয় ধর্ষণ। আমার বাইরে কোথাও বেরতে দেওয়া হত না। প্রতিবেশী কারও সঙ্গেও কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। মুখ খুললেও মেরে ফেলার হুমকিও দিতেন বাবা।’

২ দশেরও বেশি সময় ধরে একই ভাবে অত্যাচারিতা হন বছর একত্রিশের এই মহিলা। সন্তানের অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ দিন বাদে বাড়ি থেকে বেরনোর সুযোগ জুটে যায়। আর তাতেই নিজের ভয়ানক অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন তিনি। সেই চিকিত্‍সকের সহায়তায় পুলিশ মহিলার বাবাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। এ বার তাঁর কাকা ক্রমাগত তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন যাতে তিনি মামলা তুলে নেন। তবে তিনি বদ্ধপরিকর, এই অন্যায়ের যোগ্য শাস্তি দিতে চান তাঁর বাবাকে।



মন্তব্য চালু নেই