রাজীব হত্যা: দুইজনের ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন

ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় ঘোষণা করবেন।

গত ২৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার এদিন ঠিক করা হয়। ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবু রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণার হতে পারে।

২০১৩ সাল থেকে চলতি বছর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছয়জন ব্লগার হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তাদের মধ্যে ব্লগার রাজীব হত্যা মামলাই প্রথম রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে।

২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে অজ্ঞাত আততায়ীর হাতে নিহত হন শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্ত রাজীব হায়দার শোভন।

মামলাটিতে ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি দাখিল করা চার্জশিটে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান মুফতী জসীমউদ্দীন রাহমানীসহ মোট আটজন আসামি।

অপর আসামিরা হলেন, এহসানুর রেজা রুম্মান, নাফিজ ইমতিয়াজ, ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দ্বিপু, মাকসুদুল হাসান অনিক, মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ, সাদমান ইয়াছির মাহমুদ ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা। আসামিদের মধ্যে রানা পলাতক এবং অপর সব আসামি কারাগারে।

প্রসঙ্গত, ব্লগারদের মধ্যে রাজীব প্রথম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর চলতি বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া নয়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎ রায়, গত ৩০ মার্চ তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ি দিপীকার ঢাল এলাকার বাসা থেকে বেরিয়ে অফিসে যাওয়ার পথে ওয়াশিকুর রহমান বাবু, গত ১২ মে সিলেটের সুবিদবাজারে নিজের বাসার সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ, গত ৭ আগস্ট রাজধানীর গোড়ানে বাসায় ঢুকে নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়কে এবং সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় রাজধানীর লালমাটিয়ায় ব্লগার অভিজিত রায়ের বইয়ের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই