রাডার দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন এরশাদ

বিমানের রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা থেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে খালাস দেয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আজ (বুধবার) এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ১২ এপ্রিল যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যুক্তিতর্ক পর্যালোচনা করে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ, সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা (মৃত)। ইউনাইটেড ট্রেডার্সের অপর পরিচালক শাহজাদ আলীকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি করে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

অভিযোগে বলা হয়, বিমান বাহিনীর তৎকালীন সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাইপাওয়ার রাডার ও দুটি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনেন। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা ক্ষতি হয়।

এদিকে রায় উপলক্ষে এরশাদের নেতাকর্মীরা বুধবার দুপুর থেকে আদালত চত্বরে ভিড় করেন। জাপার ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, নুরুল ইসলাম নুরু, যুগ্ম মহাসচিব জহিরুল আলম রুবেল, সংসদ সদস্য আমিন হোসেন ভূঁইয়া, সালাউদ্দিন মুক্তি, জাপা নেতা মো. সোলায়মান সামি, জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি ফখরুল আহসান শাহজাদা, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ইফতেখার হাসান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু প্রমুখ আদালত চত্বরে উপস্থিত হন।

‘এরশাদ সাহেবের কিছু হলে আগুন জ্বলবে ঘরে ঘরে’ এমন স্লোগানও দেন তারা।



মন্তব্য চালু নেই