এরশাদের উপহারে অনিয়ম : আপিলের রায় আজ

উপহার সামগ্রীর অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সাজার বিরুদ্ধে আপিল ও সরকারের করা আপিলের রায় আজ (৯ মে, মঙ্গলবার)। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে মামলায় সাজার দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে এরশাদের এবং সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শেষে গত ১২ এপ্রিল এই দিন ঠিক করেন। নির্ধারিত দিনে আজ (মঙ্গলবার) এ রায় ঘোষণা করা হবে।

ওই দিন আদালতে এরশাদের পক্ষে ছিলেন শেখ সিরাজুল ইসলাম। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান।

উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ার অভিযোগ ওঠে এরশাদের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন এরশাদ। ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয় দুদক। গত ৯ মার্চ হাইকোর্টে এ মামলায় আপিল শুনানি শেষ হলে ২৩ মার্চ রায়ের দিন রাখা হয়। কিন্তু এরশাদের সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের দুটি আপিল অনিষ্পন্ন থাকায় সেদিন আর রায় না দিয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস মামলার সব ফাইল পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির কাছে। পরে প্রধান বিচারপতি তিনটি আপিল একসঙ্গে নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চে পাঠান।



মন্তব্য চালু নেই