শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভূমিহীন বিধবা মহিলার জমি দখলের পায়তারা

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের এক বিধবা মহিলার বাংলাদেশ সরকার থেকে ৯৯বছরে জন্য লিজ নেওয়া ২৫শতাংশ জমি বেদখলের পায়তারা চালাচ্ছে একই গ্রামের প্রভাবশালী একটি মহল।
সরেজমিনে পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বাকাকুড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদের বিধবা স্ত্রী জহুরা বেওয়া বাকাকুড়া মৌজার ২৩৮১নং দাগের ২৫ শতাংশ জমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঝিনাইগাতী কর্তৃক গত ২৭জুলাই/২০০০ইং সালে দলিলমূলে প্রাপ্ত হইয়া সেখানে বসত বাড়ী নির্মান করে বিধবার ৩ মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে আসছে। কিন্তু গত ৮/৯মাস পূর্বে একই গ্রামের একটি কুচক্রি মহলের নজর পড়ে সরকার থেকে প্রাপ্ত বিধবার ওই ২৫শতাংশ জায়গার উপর। বিধবাকে ওই জায়গা থেকে উচ্ছেদের জন্য চলতে থাকে নানান ষড়যন্ত্র।
বিধবার অভিযোগ, গত ৭/১১/১৫ তারিখে জহুরা বেওয়ার বসত বাড়ীতে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ইঙ্গিতে মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে আঃ বারেক,আব্দুল আলী ও জয়নাল আবেদীন গভীর রাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ বিষয়ে পরের দিন বিধবা জহুরা বেওয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে ঝিনাইগাতী থানার ওসি (তদন্ত) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ও এসআই শাওন আহম্মেদ অপু সরেজমিনে পরিদর্শন করে বাড়ীতে আগুনে পুড়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে থানায় নিয়ে যান এবং অভিযোগটি নথিভূক্ত করেন।
এর পর থেকে আসামীরা পলাতক থাকলেও তাদের পূর্বের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এবং বিধবার মামলাটি তুলে নিতে এবং ওই বিধবা মহিলাটিকে সামাজিক ভাবে সহযোগীতার অপরাধে বাকাকুড়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেনের ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (মিষ্টার)ও তার বড় ভাই আক্রাম হোসেন(ভুট্টু) সহ আরো কয়েক জনের নামে একটি মিথ্যা অভিযোগ থানায় দিয়ে প্রতিবাদকারীদের হয়রানী করছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বিধবা জহুরা বেওয়া ও প্রতিবাদকারীরা প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছেন।



মন্তব্য চালু নেই