ঝিনাইগাতী সীমান্তে বন্যহাতির মৃত্যু

মুহাম্মদ আবু হেলাল, (ঝিনাইগাতী) শেরপুর : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পানবর গ্রামে একটি ভারতীয় বন্যহাতি মারা গেছে। ওই গ্রামের পাহাড়ের ঢালে আবাদ করা একটি ধানক্ষেত থেকে ২ অক্টোবর রবিবার সকালে বন্যহাতির মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বন্যহাতিটি মারা যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এদিকে হাতিটির মৃত্যুর পর হাতিদলের অন্যান্য হাতিরা ওই গ্রামে ৭/৮ টি বাড়ীতে তান্ডব চালিয়ে ভাংচুর করেছে। বন বিভাগের ঝিনাইগাতীর তাওয়াকুচা বীট কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম জানান, মৃত হাতিটির বয়স আনুমানিক ৯/১০ বছর হবে। এটি দাতাল পুরুষ হাতি। লেজ সহ লম্বায় ১২/১৩ ফুট হতে পারে।

তাৎক্ষনিকভাবে হাতিটির মৃত্যুর কারণ জানাতে না পারলেও তিনি বলেন, ময়না তদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ময়নাতদন্ত শেষে ঘটনাস্থলের পাশেই হাতিটির মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া হবে।

স্থানীয়রা জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়ন ও আশপাশের এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা ৩০/৩৫ টির মতো একদল বন্যহাতি তান্ডব চালাচ্ছে। সেপ্টেম্বরের শেষদিকে তিনদিনের ব্যবধানে কাংশা ইউনিয়নের ওই এলাকায় মহিলা সহ দুইজন বন্যহাতির আক্রমণে নিহত হয়েছেন। প্রতিরাতেই বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে ধানের ক্ষেত খেয়ে সাবাড় করা সহ ঘরবাড়ীতে হানা দিয়ে নানা ক্ষয়ক্ষতি করছে। ভোরের আলো ফোটার আগেই বন্যহাতির দল ফের পাহাড়ের গহীণ জঙ্গলে চলে যাচ্ছে।

শনিবার রাতেও বন্যহাতির দল লোকালয়ে হানা দিয়ে ক্ষেতের ধান খাওয়া সহ ৮টি বাড়ীঘরের ক্ষয়ক্ষতি করেছে। হাতি তাড়াতে লোকজন মশাল জ্বালিয়ে, টিন পিটিয়ে শব্দ করে, জেনারেটরের আলো জ্বালিয়ে হৈ হল্লা-শব্দ করেও হাতির দলকে তাড়াতে না পারায় শনিবার রাতে স্থানীয় অদিবাসীরা জেনারেটরে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হাতি তাড়াতে চেষ্টা করে। সেই জেনারেটরের বৈদ্যুতিক শকেই হাতিটি মারা যেতে পারে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই