দৃঢ় অঙ্গীকার তো করছি, কিন্তু কবে হবে শিশুর বাসযোগ্য পৃথিবী?
চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি-
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সুকান্তর ‘ছাড়পত্র’র এই ক’টা লাইন দিয়েই ছবিগুলোর ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সেইসব শিশুদের সকালটা সত্যি অন্যরকম হতো, যদি যুদ্ধবাজদের হাতে বুলেটের বদলে চকোলেট ধরিয়ে দেওয়া যেত। কেমন হত সেদিনের সকাল? তার ছবি তুলে ধরেছেন বিখ্যাত চিত্রকর গুনদুজ অঘায়েবের ‘ইমাজিন’ সিরিজে। এরআগে “হোলি সেলফি”, “ওয়ার্ল্ড লিডার”, “গ্লোবাল পুলিস”, “জাস্ট লিডারস” সিরিজে ছবি এঁকে নজর কেড়েছেন দুনিয়ার।
তবে শিশুদেরকে নিয়ে তাঁর এই “ইমাজিন” সিরিজ আজকের দিনে গুরুত্বপূর্ণ, এ নিসন্দেহে বলা যায়। বিশ্বযুদ্ধ, ভিয়েতনাম থেকে শুরু করে সিরিয়া সঙ্কটে শিশুরা কীভাব বলি হয়েছে যুদ্ধবাজদের অমানবিক নীতির জন্য ইতিহাস তার সাক্ষী রয়েছে। আর কয়েকদিন আগে সমুদ্রতটে আইলানের নিথর শরীর বিশ্বকে দুলিয়ে দিয়েছে। গুনদুজ ইতিহাসের পাতা থেকে একের পর এক অসহায় শিশুদের ছবি নতুন পটে তুলে ধরেছেন। রঙ দিয়েছেন। প্রাণ দিয়েছেন। আর আমাদের শিখিয়েছেন, এইভাবেও তো সকালটা তৈরি করা যেত তাদের জন্য! তাঁর আঁকা ছবি মানবজাতিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে আগামী নবজাতকের কাছে, তাই না!
ভিয়েতনামের ‘নাপাম গার্ল’।
কেভিন কার্টারের বিখ্যাত সেই ছবি
ভিয়েতনামের অসহায় শিশু
সমুদ্রতটে আইলানের নিথর শরীর
এখনও দাঁড়িয়ে জাপানি ছেলেটি, পিঠে মৃত ভাই
সূত্র: জি নিউজ
মন্তব্য চালু নেই