সুপ্যারম্যান হবে মানুষ
গণমাধ্যমের কল্যাণে হলিউডের সুপারহিউম্যানদের কমবেশি সবাই চেনে। মজার বিষয় হলো, এই সুপারহিউম্যানদের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকলেও একটা বিষয়ে বেশ মিল তাদের। আর সেটা হলো এরা সবাই নিজেরাই নিজেদের শরীরের ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে। আপনি যদি ভেবে থাকেন যে এটা কেবল চলচ্চিত্রেই সম্ভব, তাহলে ভুল ভাবছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তার দেশের জনগণকে আরও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করতে নতুন এক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। মানুষের শরীরে এমন একটি যন্ত্র স্থাপন করা হবে, যে যন্ত্রের মাধ্যমে মানুষ তার শরীরের ক্ষত বা রোগ নিজেই সারিয়ে নিতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দীর্ঘদিন ধরেই এই ডিভাইসটি বানানোর চেষ্টা চলছিল। এই ডিভাইস মানবশরীরে প্রতিস্থাপন করলে এক প্রকার ইলেকট্রিক তরঙ্গের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গে কাজ করবে। তবে এই ডিভাইসটি তখনই সক্রিয় হবে, যখন শরীরের কোনো অঙ্গ আঘাতপ্রাপ্ত হবে। মার্কিন সেনাবাহিনী এই প্রকল্পটির নাম দিয়েছে ইরেক্টআরএক্স। মানুষকে ঔষধের প্রতি আসক্তি কমানোর লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সির মতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপের ফলে এই দুরূহ কাজটি করা সম্ভব হয়েছে। ডাক্তারদের পরামর্শে এবং দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের ভেতর দিয়ে এই ডিভাইসটি তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, মানুষের শরীর আঘাতপ্রাপ্ত হলে মস্তিস্কে কি আন্দোলন তৈরি হয়, এবং আঘাতপ্রাপ্ত অঙ্গ কী আচরণ করে ইত্যাদি নিবিঢ়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এরপর প্রতিবন্ধক স্থানগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু বিশেষজ্ঞের পরামর্শে কাজ করা হয়েছে।’
সেনাবাহিনীর মতে, এই ডিভাইসটির আরও একটি সুবিধা আছে। আর তা হলো, প্রয়োজন অনুযায়ী ডিভাইসটি শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রতিস্থাপন করা যাবে। কারণ পুরো ডিভাইস স্রেফ মানবশরীরের যেকোনো অংশের স্নায়ুর সংস্পর্শ পেলেই তবে চলবে। এছাড়াও মাথাব্যথা, গিটে ব্যথা দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে ডিভাইসটি। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অনেক সময়ই মানুষের মস্তিস্ক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে স্মৃতিবিভ্রম ঘটায়। এই ডিভাইসটি তা হতে দেবে না। আঘাত পরবর্তীকালে ডিভাইসটির কল্যাণে অতিদ্রুত মস্তিস্কের যাবতীয় প্রদাহ দূর হবে।’
মন্তব্য চালু নেই