দেবহাটা (সাতক্ষীরা) সংবাদ (১৮/৯/১৪)
## দেবহাটায় শিশু গাছ কর্তন, ইউএনও কর্তৃক জব্দ:
দেবহাটার নওয়াপাড়া সাইক্লোন সেন্টারের রাস্তার পাশ থেকে দুটি শিশু গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত হলে তিনি গাছগুলো জব্দ করেছেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, নওয়াপাড়া সাইক্লোন সেন্টারের রাস্তার পাশে মাঝারী সাইজের দুটি শিশু গাছ উক্ত গ্রামের আনার আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ বুধবার সকালে গোপনে কেটে নেয়। বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনম তরিকুল ইসলামের নির্দেশে এসি ল্যান্ড অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যেয়ে সরকারী গাছ কাটার সত্যতা পান এবং গাছগুলো কাটা অবস্থায় আব্দুল হামিদের বাড়িতে যেয়ে গাছগুলো পেয়ে জব্দ করেন। তবে এ বিষয়ে আব্দুল হামিদ জানান, তাকে স্থানীয় ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি গাছগুলো কেটে নিতে বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনম তরিকুল ইসলাম বলেন, তিনি সরকারী কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় গাছগুলো জব্দ করে জিম্মায় রাখা হয়েছে। তিনি ফিরে এসে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
## পূজামন্ডপের সভাপতি ও সম্পাদকদের সাথে ওসির মতবিনিময়:
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেবহাটার মৃতশিল্পীরা। তাদের সুনিপুন রঙতুলির ছোয়ায় বেজে উঠছে দেবী দূর্গার আগমনী সুর। কাদামাটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই প্রতিমার রং, পোশাক আর মন্ডপ সাজানোর কাজ শেষ হবে। শিল্পীদের সুনিপুন হাতের ছোয়ায় দূর্গা প্রতিমা ছাড়াও অন্যান্য দেবদেবীর প্রতিমাও তৈরী করা হচ্ছে। অন্যদিকে দূর্গাপূজা আর ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দেবহাটায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দূর্গাপূজা নিবিগ্ন ও শান্তিপূর্নভাবে পালনের লক্ষ্যে গতকাল সকাল ১১ টায় দেবহাটা থানার ওসির আয়োজনে উপজেলার সকল দূর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকদের উপস্থিতিতে থানা মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা থানার ওসি আশরাফ হোসেন। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন মূখার্জী। এছাড়া দেবহাটা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক তারাদাস ঘোষ, জেলা কমিটির সদস্য শরৎ চন্দ্র ঘোষ, প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল, কার্তিক চন্দ্র ঘোষ, দিপঙ্কর কুমার ঘোষ, কমল মন্ডল সহ সকল মন্ডপের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে পূজা শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন করতে ওসি আশরাফ হোসেন বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে জানা গেছে, এবছর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে মোট ২০ টি পূজা মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেগুলো হলো কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা দূর্গাপূজা মন্ডপ, কুলিয়া ঘোষপাড়া দূর্গাপূজা মন্ডপ, শ্যামনগর পশ্চিমপাড়া দূর্গাপূজা মন্ডপ, বালিয়াডাঙ্গা দূর্গাপূজা মন্ডপ, হিজলডাঙ্গা দূর্গাপূজা মন্ডপ, শ্যামনগর পূর্বপাড়া দূর্গাপূজা মন্ডপ ও সুবর্নাবাদ দূর্গাপূজা মন্ডপ, পারুলিয়া ইউনিয়নের সন্ন্যাসখোলা সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্ডপ, উত্তর পারুলিয়া চারা বটতলা দূর্গাপূজা মন্ডপ, দক্ষিন পারুলিয়া জেলেপাড়া দূর্গাপূজা মন্ডপ, নোড়ারচক দূর্গাপূজা মন্ডপ, বড়শান্তা দূর্গাপূজা মন্ডপ, উত্তর কোমরপুর দূর্গাপূজা মন্ডপ, সখিপুর ইউনিয়নের পালপাড়া দূর্গাপূজা মন্ডপ, কোড়াঁ পাকড়াতলা দূর্গাপূজা মন্ডপ, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের গাজীরহাট দূর্গাপূজা মন্ডপ, দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ফুটবল মাঠ দূর্গাপূজা মন্ডপ, দেবহাটা বাজার দূর্গাপূজা মন্ডপ, টাউনশ্রীপুর দূর্গাপূজা মন্ডপ ও টাউনশ্রীপুর পালপাড়া দূর্গাপূজা মন্ডপ। ওসি আশরাফ হোসেন জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই