পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ২০ টি বস্তু

স্থান , কাল পাত্র এবং চাহিদা ভেদে বিভিন্ন বস্তুর দাম আলাদা হয় । হয়তো আমরা যে সকল বস্তুকে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি হিসেবে জানি সে সকল বস্তুর থেকেও চাহিদা সম্পন্ন এবং দামি বস্তু এই রহস্য ঘেরা পৃথিবীতে আছে । হ্যা , পাঠক আজ আমরা আপনাদের এমন ২০ টি বস্তুর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব । যে সব বস্তু তাদের নিজ গুনে এবং দামে আপনার জানা সকল দামি বস্তুকে হার মানাবে ।

আলমাস নামে পরিচিত মূল্যবান এ ইরানি ক্যাভিয়ারের প্রতি গ্রামের দাম ৩৫ ডলার

‘সোনার মতো দামি’ কথাটি মূল্যবান বস্তুর ক্ষেত্রে বলা হলেও স্বর্ণের চেয়ে মূল্যবান বহু বস্তু রয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে মসলা, ওষুধ, খনিজ পদার্থ ও নানাধরনের রত্ন। এ লেখায় থাকছে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কয়েকটি বস্তু। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।

২০. সলিরিস
ওষুধও যে মূল্যবান হতে পারে তার প্রমাণ এটি। মূলত বহু বছরের গবেষণা ও উন্নয়নের খরচের কারণেই এ মূল্যবৃদ্ধি। বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এ ওষুধটির ৩০ মিলির দাম পাঁচ হাজার ডলার। মূলত জীবনহানিকর লোহিত রক্তকনা স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত ধ্বংস করে, এমন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় ওষুধটি।

১৯. সাদা ট্রাফল
সবচেয়ে দামি মসলার তালিকায় রয়েছে সাদা ট্রাফল নামে একধরনের মাশরুম। এটি মূল্যবান পাস্তা, মাংস ডিম কিংবা ভাতে ব্যবহার করা যায়। এর প্রতি গ্রামের মূল্য পাঁচ ডলার।

১৮. জাফরান
ফুলের রেনু থেকে তৈরি এ মসলাটি খাবারের শুধু স্বাদ বা রংয়ের জন্যই নয়, এটি নানা উপকারেও আসে। এর প্রতি গ্রামের দাম ১১.১৩ ডলার।

১৭. ইরানিয়ান বেলুগা ক্যাভিয়ার
মূল্যবান মাছের ডিম থেকে তৈরি এ ক্যাভিয়ার আলমাস নামেও পরিচিত। অ্যাপেটাইজার হিসেবে এ খাবার খুবই জনপ্রিয়। মূল্যবান এ ক্যাভিয়ারের প্রতি গ্রামের দাম ৩৫ ডলার।

১৬. স্বর্ণ
শুধু গহনাতেই নয়, সোনা ব্যবহৃত হয় নানা মূল্যবান যন্ত্রপাতিতেও। আর এ কারণে প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম প্রায় ৩৯.৮১ ডলার।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি ২০টি বস্তুর কথা জেনে নিন

১৫. রোডিয়াম
মূল্যবান যন্ত্রপাতিতে রোডিয়াম ব্যবহৃত হয়। গাড়ির থ্রি ওয়ে ক্যাটালটিক কনভার্টারে এটি ব্যবহারে গাড়ির কার্বন নিস্বরণ কমায়। প্রতি গ্রাম রোডিয়ামের দাম ৪৫ ডলার।

১৪. প্ল্যাটিনাম
বহু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্ল্যাটিনাম ব্যবহৃত হয়। গহনা হিসেবে কিংবা ক্যান্সারের ওষুষেও এর ব্যবহার রয়েছে। আর প্রতি গ্রাম প্ল্যাটিনামের মূল্য ৪৮ ডলার।

১৩. গণ্ডারের শিং
বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় গণ্ডারের শিং কাজে লাগে বলে জানা যায়। আর এর প্রতি গ্রামের দাম ৫৫ ডলার।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি ২০টি বস্তুর কথা জেনে নিন

১২. ক্রিম ডে লা মের
জাদুকরি এ ক্রিম ব্যবহার আপনার ত্বকের বয়স কমিয়ে দেবে। আপনাকে দেখাবে কম বয়সি। আর এ ক্রিমের প্রতি গ্রামের দাম ৭০ ডলার।

১১. হেরোইন
নেশাদ্রব্য হিসেবে ব্যবহারের কারণে ওপিয়েট এখন নিষিদ্ধ। এর প্রতি গ্রামের দাম ১১০ ডলার।

১০. মিথামফেটামাইন
নেশাদ্রব্য হিসেবে ব্যবহৃত এ বস্তুটির প্রতি গ্রামের মূল্য ১২০ ডলার।

৯. ক্র্যাক কোকেন
নেশাদ্রব্য হিসেবে ব্যবহৃত ক্র্যাক কোকেনের প্রতি গ্রামের মূল্য ৬০০ ডলার।

৮. এলএসডি
এলএসডি ১৯৬০-এর দশকে জনপ্রিয় ছিল। এ বস্তুটি হেলুসিনেশন তৈরি করতে সক্ষম বলে জানা যায়। ক্রিস্টাল আকারের প্রতি গ্রাম এলএসডির মূল্য তিন হাজার ডলার।

৭. প্লুটোনিয়াম
পারমাণবিক বোমা কিংবা পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজে লাগে এ বস্তুটি। প্রতি গ্রাম প্লুটোনিয়ামের মূল্য চার হাজার ডলার।

৬. টাফেইট
হীরার চেয়েও বিরল এ রত্ন। গহনাতেও এর ব্যবহার রয়েছে। প্রতি গ্রাম এ রত্নের মূল্য আড়াই হাজার থেকে ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

৫. ট্রাইটিয়াম
এ বস্তুটি নিজে থেকে উজ্জ্বল থাকে। তাই অন্ধকারেও কোনো লেখা দৃশ্যমান রাখার জন্য এর ব্যবহার রয়েছে। প্রতি গ্রাম ট্রাইটিয়ামের মূল্য ৩০ হাজার ডলার।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি ২০টি বস্তুর কথা জেনে নিন

৪. হীরা
গহনা ছাড়াও নানা মূল্যবান যন্ত্রপাতিতে ব্যবহার করা হয় হীরা। আর রংহীন এক ক্যারট হীরার প্রতি গ্রামের মূল্য হতে পারে ৬৫ হাজার ডলারেরও বেশি।

৩. পাইনাইট
বিশ্বের দুর্লভতম খনিজ পদার্থের মধ্যে এটি অন্যতম। প্রতি গ্রাম পাইনাইটের মূল্য তিন লাখ ডলার।

২. ক্যালিফোর্নিয়াম ২৫২
মূল্যবান এ পদার্থটি প্রয়োজন হয় তেলক্ষেত্রে তেল ও পানিস্তরের অনুসন্ধানের কাজে। এ পদার্থটির প্রতি গ্রামের মূল্য ২৭ মিলিয়ন ডলার।

১. অ্যান্টিম্যাটার
ভবিষ্যতে অ্যান্টিম্যাটার দিয়ে মহাকাশযানের জ্বালানি বানানো সম্ভব হবে। এর প্রতি গ্রামের আনুমানিক মূল্য হবে ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার।



মন্তব্য চালু নেই