ইউরোপে থাকতে চাই না, যুদ্ধটা থামান
ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের কারণে দেশ ছাড়া লাখ লাখ সিরীয় নাগরিক। বাঁচার তাগিদে মৃত্যু উপত্যকা পাড়ি দিয়ে ইউরোপ পৌঁছালেও বিভিন্ন দেশে অমানবিক জীবন কাটাচ্ছেন তারা। ইউরোপের দুয়েকটি দেশ উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিলেও বেশিরভাগই চোখ ফিরিয়ে রেখেছে।
অবহেলিত মানুষগেুলো বলছেন, তারা ইউরোপে থাকতে আসেননি, শুধু যুদ্ধটা থামানোর অনুরোধ তাদের।
কয়েকদিন আগে তুরস্কের সমুদ্রে সৈকতে সিরিয়ার শিশু আয়লান কুর্দির নিথর দেহের ছবি সারা দুনিয়াকে জাগিয়ে দিয়েছে। এবার আরেক সিরিয়ান কিশোরকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
কোনোভাবে হাঙ্গেরিতে পৌঁছানো ১৩ বছরের সিরিয়ান এক কিশোর আল-জাজিরাকে বলেছে, অনেক মানুষ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ সম্পর্কে বুঝতে পারছে না। তারা জানে না সেখানে আসলে কী অবস্থা।
তার এই সাক্ষাতকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
সিরিয়ার দারা শহর থেকে বোনকে নিয়ে পালানো কিশোর কাইনান মোসাল্লেম বলেছে, দয়া করে সিরিয়ানদের সাহায্য করুন। যুদ্ধ বন্ধ করতে সিরীয়দের সাহায্য দরকার।
কিশোরটি আরো বলেছে, ‘আমরা ইউরোপে থাকতে চাই না। দেশে থাকতে চাই। শুধু যুদ্ধটা বন্ধ করতে হবে।’
‘কোনো দেশের পুলিশই সিরিয়ানদের পছন্দ করছে না। সেটা গ্রিস, মেসিডোনিয়া, হাঙ্গেরি, সার্বিয়াসহ সবখানেই।’
মন্তব্য চালু নেই