রাজনীতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেই বসলো দেশটির সেনাবাহিনী। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরকি ই ইনসাফ (পিটিআই) এবং তাহিরুল কাদরির দল পাকিস্তান আওয়ামি তেহরিক (প্যাট) এর সঙ্গে সমঝোতার উদ্যোগ নিয়েছে সেনাপ্রধান রাহেল শরিফ।
আর এর মধ্য দিয়ে গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো রাজনীতির মাঠে সরাসরি সক্রিয় হলো সেনাবাহিনী। এর আগেও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে রাজনীতির ওপর বহুবার হস্তক্ষেপ করতে দেখা গেছে। দেশটির স্বাধীনতার ৬৮ বছরের ইতিহাসে অর্ধকে সময়ই কেটেছে সেনাবাহিনীর শাসনে।
তবে এবার সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক দলগুলোই টেনে এনেছেন রাজনীতির ময়দানে। ২০১৩ সালে দেশটির জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে গত ১৪ আগস্ট আন্দোলন শুরু করে পিটিআই ও প্যাট। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহ গড়ালেও এখন পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে কোনো সুরাহা হয়নি দল দুটির। এমনকি এখন পর্যন্ত কোনো দু পক্ষের মধ্যে কোনো বৈঠকও হয়নি।
এ কারণে পিটিআই ও প্যাটের সঙ্গে সরকারের সমঝোতার পথ খুলতেই উদ্যোগ নেন সেনাপ্রধান রাহেল শরিফ। সেনাপ্রধানের মধ্যস্ততা মেনে নেয়ার আগে বৃহস্পতিবার সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, পরে ইমরান খান ও তাহেরুল কাদরি। বৈঠকের পরপরই রাহেল শরিফের মধ্যস্তায় সরকারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সম্মতি প্রকাশ করে ইমরান খান ও কাদরি।
তবে মধ্যস্ততা মানলেও ইমরান খান দাবি করেন, নওয়াজের পদত্যাগ ছাড়া তিনি ২০১৩ নির্বাচনে ভোট কারচুপি বিষয়ে কোনো তদন্তের ফলাফল বিশ্বাস করবেন না। অপর দিকে কাদরি, বর্তমান সরকার বাতিল করে টেকনোক্রাটদের দিয়ে নতুন সরকার গঠন করে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান।
এদিকে শুক্রবার পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে পদত্যাগ করবেন না বলে জানান নওয়াজ শরিফ। এ সময় তিনি তার সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার ব্যাপারে যুক্তি তুলে ধরেন।
মন্তব্য চালু নেই