কিরগিজস্তানের ‘সেক্স স্কুল’
এটা দেখতে অনেকটা জিমন্যাস্টিক ক্লাসের মতো। ঘরভর্তি নারী শিক্ষার্থীর মধ্যে শারিরীক কসরতের শিক্ষা দিচ্ছেন এক নারী শিক্ষক। তিনি দেখাচ্ছেন কীভাবে বুকভর্তি করে শ্বাস নিতে হয়, ছাড়তে হয়।
এখানে একইসঙ্গে শেখানো হয় ইয়োগা, ব্যালে এবং চীনের এক ধরনের কসরৎ, যা তলপেটের পেশি মজবুত করে। পাকস্থলী কর্মক্ষম রাখে এবং পা শক্তিশালী হয়।
এ পর্যন্ত বোঝার উপায় নেই যে এটা একটা সেক্স ক্লাস। শুধু তখনই বোঝা যায়, যখন ডিমের মতো একটি পাথর সবাইকে দেয়া হয়। যোনির পেশি সুদৃঢ় করতে এই পাথর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের চর্চা করা হয়, যা যৌনাঙ্গের সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। চীনে যৌনশিক্ষায় এটি খুবই জনপ্রিয়।
ভালো যৌনশিক্ষা ও উত্তম যৌনকর্মের জন্যই এ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন ৩০ বছর বয়সী এক নারী। শুরুর দিকে তিনি অনেক বাধার মুখে পড়লেও এখন সে স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড়শ। তিন বছরে আগে তিনি এ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটি জায়গা তৈরি করতে চেয়েছি, যেখানে নারীরা তাদের নারীত্বের উন্মেষ ঘটাতে পারবে। যেখানে শিক্ষা নিয়ে নারীরা নারীত্বকে উপভোগ করতে পারবে।
ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ৬৬ বছর।
সোভিয়েত ইউনিয়নে যৌনতা বিষয়ে সমাজে অনেক বিধি নিষেধ ও কট্টরতা থাকলেও এ স্কুল সেসব ভেঙে দিয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই