৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি বসুন্ধরার আগুন
বসুন্ধরার সিনিয়র ম্যানেজার মেজর মোস্তফা (অব.) বলেন, ভেতরে ছয় থেকে সাতটি দোকানে আগুন লাগে। এটা একটা দুর্ঘটনা।
আগুন লাগার কারণে বসুন্ধরা সিটির ছাদে ১১ জন আটকা পড়েন। তারা সবাই বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের কর্মচারী। এর মধ্যে তিনজন নারী আছেন।
ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্স বিভাগের মেজর শাকিল নেওয়াজ জানান, আগুন লাগা ফ্লোরের দোকানে রাবার জাতীয় পণ্য আছে। আগুনের সংস্পর্শে সেখান থেকে ধোয়া ও প্রচুর গ্যাস বের হচ্ছে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হচ্ছে।
ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে জমে থাকা গ্যাস বাইরে বের করা হচ্ছে বলে ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা জানান।
আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটের সব লিফট ও চলন্ত সিড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মার্কেট থেকে ক্রেতা ও দোকানের সকল কর্মচারীরা রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, পুরো এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। উৎসুক জনতার কয়েকজন মেয়রের কাছে জানতে চান বারবার কেন ওই শপিং মলে আগুন লাগে।
মেয়র জবাবে বলেন, আমিও জানতে চাই, বার বার কেন তাদের আগুন লাগে।এই পর্যন্ত তিন বার এই মার্কেটে আগুন লেগেছে।
ঢাকার অন্যতম বৃহৎ এই শপিং কমপ্লেক্সে লাগোয়া দুটি ভবন রয়েছে।এর পান্থপথ সড়কমুখী আট তলা ভবন এবং পেছনের ১৯ তলা ভবন। পেছনের এ ভবনের উপরের দিকে ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ ভয়াবহ আগুনে সাত জনের মৃত্যু হয়, আহত হন শতাধিক।
এরপর ওই বছরেরই আগস্টে ও ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বসুন্ধরা সিটিতে আগুন লাগে।
মন্তব্য চালু নেই