৪৬ দিন পর অপহৃত শিশু উদ্ধার
রাজধানীতে অপহরণের ৪৬ দিন পর মোবারক হোসেন নামে পাঁচ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাবুল ইসলাম ও তার এক স্ত্রী নাজমা বেগমকে এ সময় গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে বাবুল ইসলাম উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের মাথার একটি বাসাসংলগ্ন পিঠার দোকানের সামনে থেকে মোবারককে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায় তার চতুর্থ স্ত্রী নাজমা বেগমের কাছে রাখে। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে মোবারকের বাবা-মার কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বাবুল।
মনিরুল ইসলাম বলেন, মোবারক অপহৃত হওয়ার পর ওইদিনই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। ঘটনার পরদিন পাশের একটি মোবাইল ফোনের দোকানে ফোন করে জানায় পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে, না হলে মোবারককে হত্যা করা হবে। এরপর ৬ ফেব্রুয়ারি থানায় মামলা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করলে গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুরের মাওনা থেকে বাবুল ও নাজমাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে শিশুটির বাবা অপহরণকারীদের দুটি নম্বরে বিভিন্ন সময়ে ১৭ হাজার ৭৭০ টাকা বিকাশ করে পাঠায়। অপহরণের ঘটনার ৪০ দিন পর শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারের আশা ছেড়ে দিয়ে ওই থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
মনিরুল ইসলাম আরো জানান, তদন্তের এক পর্যায়ে গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগে সাইবার ক্রাইম টিম আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারী আব্দুল জব্বার ওরফে ঠান্ডু কে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থেকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে গাজীপুরের মাওনা গ্রামে বাড়িতে বাবুলের স্ত্রী নাজমার হেফাজতে থাকা মোবারককে উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে উপস্থিত মোবারকের বাবা ফারুক হোসেন জানান, ছেলে হারানোর পর থানায় গিয়ে জিডি করেছি। পুলিশ উদ্ধার করতে না পারায় র্যাবের কাছে যাই। র্যাব তদন্তে নেমে আমাকে কোনো উত্তর দিতে পারেনি। এরপর গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে এরাই আমার ছেলেকে উদ্ধার করে আনে।
মন্তব্য চালু নেই