৩ মিটার দক্ষিণে সরেছে কাঠমান্ডু
স্মরণকালের ভয়ঙ্কর শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত তিন মিটার দক্ষিণে সরে গেছে হিমালয়কন্যা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। হিসেব কষে এমনটাই বলছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। এদের একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জেমস জ্যাকসন খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
ইমেইল আলাপচারিতায় মঙ্গলবার দুপুর সোয়া একটায় ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের আর্থ সায়েন্স-এর অধ্যাপক জ্যাকসন এ কথা বলেন।
ভারতের একটি গণমাধ্যমে কাঠমান্ডু সরে গেছে বলে উল্লেখ করেছে, এমন তথ্য কি সত্য—জ্যাকসনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, এ কথা সত্য। ভূমিকম্পের কারণে কাঠমান্ডু দক্ষিণে অন্তত ১০ ফুট (তিন মিটার) সেরে গেছে।
ভূমিকম্পের পর ভূমি-মাধ্যমে শব্দতরঙ্গ প্রবাহিত হয়। সেই শব্দতরঙ্গ নিয়ে গবেষণা করে ভূকম্পনের প্রাথমিক তথ্যচিত্রে কাঠমান্ডুর অভ্যন্তরীণ ভূস্তর সরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জেমস জ্যাকসনের এই হিসেবের সঙ্গে মিল আছে অস্ট্রেলীয় ভৌতবিজ্ঞানী স্যান্ডি স্টিসির হিসেবনিকেশের। ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেডের এই বিজ্ঞানীকে উদ্ধৃত করেছে এনডিটিভি।
কাঠমান্ডু সরলেও পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের উচ্চতা একই রকম আছে বলে মন্তব্য করেছেন স্যান্ডি স্টিসি।
তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু ভূমিকম্পটি যে ফল্টলাইনে ঘটেছে ঠিক সরাসরি তার ওপর অবস্থান নয় এভারেস্টের, তাই এর উচ্চতায় কয়েক মিলিটারের বেশি রদবদল না হওয়ারই কথা।’
২৫ এপ্রিল শনিবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে নেপালে। দেশটির ৮১ বছরের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে বলা হয়েছে, এই ভূমিকম্পে অন্তত চার হাজার ৩০০ জন মারা গেছেন। তবে নেপাল প্রধানমন্ত্রী সুশিল কৈরালা মঙ্গলবার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৪ সালে নেপালে ৮ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেবার অন্তত ১০ হাজার ৬০০ মানুষ মারা গিয়েছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই