৩০ বছর পর বললেন ‘আমি লাটিউলিপ’
কানাডার এডগার লাটিউলিপ স্মৃতিশক্তি হারিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন ৩০ বছর আগে। সম্প্রতি স্মৃতি ফিরে এসেছে তার। এখন পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
লাটিউলিপ যখন নিখোঁজ হন তখন তার বয়স ২১ বছর। ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে নিখোঁজ হওয়ার সময় তিনি অন্টারিও প্রদেশের কিচেনারে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন লাটিউলিপ। পরে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, একদিন নায়াগ্রা ফলসগামী একটি বাসে করে যাচ্ছিলেন লাটিউলিপ। এ সময় কোনোভাবে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন তিনি এবং স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন।
সম্প্রতি তার স্মৃতি ফিরে আসে এবং নিজের প্রকৃত পরিচয় জানতে সক্ষম হন তিনি। লাটিউলিপ নিজেকে সেন্ট ক্যাথারিনে আবিষ্কার করেন, যা তার নিজ শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে। তার বর্তমান বয়স ৫১।
গত মাসে লাটিউলিপ একজন সমাজকর্মীকে জানান, তিনি দীর্ঘদিন আগের ঘটনা স্মরণ করতে পারছেন। তিনি তার নামও বলেন সমাজকর্মীকে। তখন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় লাটিউলিপের নাম রয়েছে। এরপর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় তার পরিচয় সঠিক।
এদিকে লাটিউলিপের মা সারাহ উইলসন এই খবরে খুবই আনন্দিত। তিনি জানান, তার ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ। যখন সে নিখোঁজ হয় তখন তার আচরণ ছিল ১২ বছরের বাচ্চার মতো। লাটিউলিপ নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। উইলসন এখন তার ছেলেকে কাছে পেতে উন্মুখ হয়ে আছেন।
নায়াগ্রার আঞ্চলিক পুলিশ কনস্টেবল ফিলিপ গাভিন বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটি বিরল একটি ঘটনা। এর আগে এ ধরনের ঘটনা টেলিভিশনে দেখেছিলাম। কিন্তু এমন একটি বিষয়ের অংশ হয়ে যাব, তা কখনো ভাবিনি।’
তথ্যসূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ ও ইনডিপেন্ডেন্ট
মন্তব্য চালু নেই