২০ দিন পর সেই কাওছার ও রোকনুজ্জামান থানায়!

ঝিনাইদহ শহরের হামদহ সোনালীপাড়া থেকে নিখোঁজ ৫ জনের মধ্যে সাবেক সেনা সদস্য কাওছার আলী ও মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামানকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর থানায় সোপর্দ করেছে র‌্যাব।

তাদের বিরুদ্ধে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারী জঙ্গি নিবরাস ও মোবাশ্বেরকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ঝিনাইদহ র‌্যাবের কমান্ডিং অফিসার মেজর মনির আহমেদ জানান, শহরের পাগলাকানা এলাকা থেকে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি করার সময় তাদেরকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ এর সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, র‌্যাব আজ মঙ্গলবার কাওছার আলী ও রোকনুজ্জামানকে থানায় সোপর্দ করেছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগইবা কী এবং কেনই বা তাদেরকে আটক করা হলো সে ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না।

তবে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার পর জানা যায়, ঝিনাইদহের সোনালীপাড়ার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো গুলশানের হামলাকারী নিবরাস ও মোবাশ্বের। হামলার কিছু দিন আগে তারা ঐ ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দেয়। গুলশানের এই দুই হামলাকারীর সঙ্গে সেখানে আরও কয়েকজন ‘জঙ্গি’ থাকতো। ‘জঙ্গি’দের বাড়ি ভাড়া দেয়ার ব্যাপারে ‘ভূমিকা রাখেন’ ইমাম রোকনুজ্জামান। তখনই খবর রটে যে- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এই দুই জনসহ পাঁচ জনকে আটক করে নিয়ে গেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে তা স্বীকার করা হয়নি। এই পাঁচ জন হচ্ছে- ঝিনাইদহ শহরের সোনালী পাড়ার ঠান্ডু মোল্লার ছেলে কাওছার আলী মোল্লা, তার দুই ছেলে ঝিনাইদহ কলেজের ছাত্র বিনছার আলী, নারিকেলবাড়িয়া কলেজের ছাত্র বেনজির আলী, হামদহ সোনলীপাড়া মসজিদের ইমাম যশোরের ঝিকরগাছার নায়রা গ্রামের রোকনুজ্জামান ও ছারশিনা মাদ্রাসার ছাত্র আদর্শপাড়া কচাতলা মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের কিশোর ছেলে হাফেজ আব্দুর রব।

কাওছার আলীর স্ত্রী বিসকিস নাহার অভিযোগ করেন ৬ জুলাই তার স্বামী কাওছার আলী, দুই ছেলে বিনছার আলী ও বেনজির আলীসহ ৫ জনকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম করে। তবে ঝিনাইদহ র‌্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল। সবশেষে আজ এই দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও বাকি তিন জনের ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি এখনো।

সাবেক সেনা সদস্য কাউছার আলী ও মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামানকে থানায় সোপর্দ করলেও এখনো বিনছার আলী, বেনজির ও হাফেজ আব্দুর রব ফিরে না আসায় তাদের পরিবারে শঙ্কা বাড়ছে। তবে এদের পরিবারের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘ঢাকা থেকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ফোন করে এই তিনজনকে মুচলেকা দিয়ে নিয়ে যেতে বলেছে। এখন আমরা ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’



মন্তব্য চালু নেই