২০৪৫ সালের মধ্যেই গর্ভের বাইরেই কৃত্রিম গর্ভ জন্ম হবে সন্তানের
ঢাকা:২০৪৫ সালের মধ্যেই গর্ভের বাইরেই কৃত্রিম গর্ভ জন্ম হবে সন্তানের
খুব বেশি হলে আর ৩০ বছর। তারপরই হয়ত সন্তানের জন্ম দিতে আর ৯ মাস গর্ভে ধারণ করতে হবে না। গর্ভের বাইরেই বেড়ে উঠবে আপনার সন্তান।
আজ থেকে ১৩ বছর আগে ২০০১ সালে আবিষ্কৃত হয় এক্টোজেনেসিস। ইঁদুরের গর্ভের সঙ্গে প্লাসেন্টা মেশিন যুক্ত করে এক্টোজেনেসিস করা হয়। গবেষকরা মনে করছেন এর ফলে যেহেতু সন্তানের মনিটরিং করা অনেক সহজ হবে, মৃত শিশু প্রসবের প্রবণতাও অনেক কমবে। তবে সমালোচকরা বলেছেন এর ফলে মায়ের সঙ্গে সন্তানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। প্রাণী শরীরের বাইরে ভ্রুণের বেড়ে ওঠার পদ্ধতির নাম এক্টোজেনেসিস। মানুষ, অন্যান্য প্রাণী, এমনকী ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এই পদ্ধতি।
কৃত্রিম গর্ভে প্রয়োজন কৃত্রিম জরায়ু, অক্সিজেন ও ভ্রুণের বেড়ে ওঠার প্রয়োজনীয় পুষ্টি। বর্জ্য পদার্থ বের করতে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড স্যাকেরও প্রয়োজন। এই পুরোটাই যুক্ত থাকবে প্লাসেন্টা মেশিনের সঙ্গে। যেখানে কেবলের মাধ্যমে মনিটর যুক্ত করে হার্ট রেট থেকে ভ্রুণের বৃদ্ধি সবকটি ধাপই মনিটর করা হবে। যদি কোনও কারণে কোনও মহিলার জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে বা অন্য কারণে তিনি স্বাভাবিক উপায়ে সন্তান ধারণ করতে অক্ষম হন, তবে এই পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন তিন।
এর ফলে সারোগেট মাদারের প্রয়োজনীয়তাও মিটবে। সমকামীরাও সহজেই পেতে পারবেন নিজেদের সন্তান। সেইসঙ্গেই কমবে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মায়ের মৃত্যুর হারও। ভ্রূণ অসুস্থ হয়ে পড়লে ওষুধও দেওয়া যাবে সহজেই।
মন্তব্য চালু নেই