১৬ ঘন্টা পর তুরাগ নদীতে ভেসে উঠলো নিখোঁজ ২ জনের লাশ
টিপু সুলতান(রবিন), সাভার প্রতিনিধি : সাভারের বিরুলিয়ায় তুরাগ নদীতে নিখোঁজের ১৬ ঘন্টা পর দুই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নিহতের স্বজনেরা। এঘটনার পর থেকে বনভোজনে আসা ট্রলার ও ট্রলারের মালিককে স্থানীয় পুলিশ আটক করে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিখোঁজ নিজাম খানের মামা আবুল হাশেম জানান, গতকাল সাভারের বিরুলিয়ায় তুরাগ নদীতে বনভোজনে এসে নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় তার ভাগ্নে নিজাম ও মিজানুর। পরে সারাদিন খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল তাদের না পেয়ে চলে যায়। এরপর তারা রাতভর নদীতে নিখোঁজদের সন্ধান করতে থাকেন। অবশেষে বুধবার সকাল ৬টার দিকে প্রায় ১৬ ঘন্টা পর তার ভাগ্নে নিজাম খানের মৃতদেহ তুরাগ নদীর হারুলিয়া ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ভেসে উঠতে দেখেনে।
তিনি আরো বলেন, এর কয়েক ঘন্টা পর সকাল ৯টায় হারুলিয়া ঘাট থেকে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে নিখোঁজ অপরজন মিজানুর রহমানের মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখেন তারা। পরে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় দুই জনের মৃতদেহ স্থানীয় পুলিশ ও গাজীপুর পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে তাদের স্বাক্ষর রেখে নিহতদের মৃতদেহ জানাজার জন্য গাজীপুরের কাশিমপুরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বনভোজনে আসা জুঁই পরিবহনের নামে ট্রলারটি ও তার মালিককে পুলিশ বেআইনীভাবে আটক করে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে স্থানীয় বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আশরাফ উদ্দিন জানান, ট্রলারের মালিক পালিয়ে যাওয়ায় ট্রলারটি তারা হেফাজতে রেখেছেন।
অথচ বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী ও ট্রলার মালিকের স্বজনেরা পুলিশ কর্মকর্তা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলেন জানান। কেননা গতকাল দুই জন নদীতে নিখোঁজ হওয়ার পর নিকটস্থ পুলিশ ফাঁড়িতে ব্যাপারটি অবহিত করার পরপরই পুলিশ ট্রলারটি জব্দ করে রাখে। এসময় আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রলারের মালিককেও। এই সংবাদ লেখা পর্যন্তও ট্রলারের মালিককে ওই পুলিশ ফাঁড়িতেই আটকে রাখা হয়েছে বলেও জানায় তারা।
উল্লেখ্য যে, মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে ২০ জনের একটি দল বনভোজনে সাভারের বিরুলিয়ার তুরাগ নদীতে গোসল করতে নেমে দুই জন নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ নিজাম খান (২৮) গাজীপুরের কাশিমপুরের ওয়ালিউল্লাহ খানের ছেলে এবং নিখোঁজ অপরজন মিনহাজ (১৮) একই এলাকার কুদরত উল্লাহর ছেলে। নিজাম মুদির দোকানি ও মিনহাজ ডেকোরেটর ব্যবসা করেন।
মন্তব্য চালু নেই