১৫ বছর পর মায়ের কোলে ‘নিখোঁজ’ শিখা
ঢাকা থেকে নিখোঁজের ১৫ বছর পর খুলনা থেকে শিখা আক্তার নামে এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে খুলনা মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সহযোগীতায় নগরীর মিয়াপাড়া কায়েমিয়া মাদ্রাসা গলির আবুল হোসেন মিয়ার বাড়ী থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়ে শিখার মা রহিমা বেগম এবং পরিবারের সদস্যরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন।
খুলনা মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী এ্যাডভোকেট. মোমিনুল ইসলাম, সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যম কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ২০০১ সালে চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পুমদি এলাকার গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে শিখা আক্তারকে ঢাকায় এনে বিক্রি করে দেয় পাচারকারী চক্র।
পরে সেখান থেকে নানা হাত ঘুরে খুলনার টুটপাড়া জোড়াকল এলাকায় এক বাড়ীতে কাজ নেয় সে। সেখানে অত্যাচারের শিকার হলে মিয়াপাড়া এলাকার আবুল হোসেন তাকে নিয়ে এসে মেয়ের স্নেহে লালন-পালন করেন।
গত ১৫ বছর ধরে সেখানে বড় হয় শিখা। সম্প্রতি মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ও গণমাধ্যম কর্মীরা তার খোঁজ পেয়ে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে শিখার পিতা-মাতার খোঁজ মেলে।
পরে মঙ্গলবার তার মা রহিমা বেগম ও চাচা মফিজ উদ্দিন মেয়েকে নিতে খুলনা আসেন। হারিয়ে যাওয়া মেয়ে খুঁজে পেয়ে খুশীতে কেদেছেন মা-মেয়ে। পরে পুলিশের মাধ্যমে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই