১২ বছরেই সংসারের হাল ধরলো সোনিয়া

সোনিয়া ১২ বছরের এক শিশু। তার বাড়ি উত্তর প্রদেশের এক গ্রামে। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪। দুটি ছোট বোন আর একটা ভাইয়ের দেখাশোনা, সংসার সামলানো সবকিছু একাই সে। এ সংসারে সেই যে কর্ত্রী। একা হাতে সহোদরদের জন্য খাবার তৈরী আর সংসারের সব কিছু দেখাশুনা করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠে সে। কিন্তু সে তার ভাইবোনদের নিয়ে খুব চিন্তিত। তাদের বাবা-মা নেই। এই ছোট শিশুদের দায়িত্ব কে নেবে আর তারা লেখাপড়া কীভাবেই করবে?

তাদের বাবা-মা দু’বছর আগে আত্মহত্যা করেছেন। দরিদ্রতা আর ফসলের ক্ষতিতে হতাশ হয়ে তারা আত্মহননের পথ বেছে নেয়। ওই দুর্ঘটনার পর এতিম হয়ে যায় সোনিয়া এবং তার ছোট ভাই-বোনেরা। প্রথমদিকে আত্মীয় স্বজনদের কাছে আশ্রয় নেয় তারা। কিন্তু তাদের দাদা-দাদীসহ অন্যান্য আত্মীয়রা তাদের দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। ফলে হঠাৎ করেই আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে ওই শিশুরা। কোনো উপায় না পেয়ে বৃহস্পতিবার তার ছয় বছরের ভাই রোহিত সাহায্যের জন্য থানায় যায়। পরে পুলিশ তাদের গ্রামে যায় এবং গ্রামের পঞ্চায়েতকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলে।

গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান এনডিটিভিকে জানায়, তারা ওই শিশুদের আশ্রয়ের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করবে। এবং প্রতি মাসে তাদেরকে ১ হাজার রুপি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এতেই খুব খুশি ওই শিশুরা। মাথা গোঁজার মত একটা ঠাঁইতো পাওয়া গেল। সোনিয়া এনডিটিভিকে জানিয়েছে, ‘আমি লেখাপড়া করতে চাই আর আমার ভাই-বোনদেরও পড়াতে চাই।’



মন্তব্য চালু নেই