১১ হাজার ভোল্টকেও হার মানালো বিস্ময় বালক (ভিডিওসহ)

খুটি বেয়ে উপরে উঠে গেল এবং ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার ধরে নাড়াচাড়া করতে লাগল দিপক।

এত উচ্চ ভোল্টেজের তারের ৫ মিটার দূরেও যদি কেউ দাঁড়ায় তাহলে তার আর বেঁচে থাকার কথা নয়। কিন্তু দিপকের কিচ্ছু হচ্ছে না। সে বরং হাসছে। তাহলে কি তারে বিদ্যুৎ নেই? কিন্তু বিদ্যুৎ তো আছে। কিন্তু দিপকের কিছু হচ্ছে না কেন। খুঁটির নিচে জড়ো হওয়া শত শত মানুষ বিস্ময়ে হতবাক।

দিপকের বাড়ি ভারতের হরিয়ানায়। নিজের শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহের এ আশ্চর্য শক্তির পেছনে চেষ্টা সাধনার কোন রকম ইতিহাস নেই তার। তার পরিবারের কথায় এটা ঐশ্বরিক দান। একদিন অসাবধানতাবশত তার শরীরে বিদ্যুতের তারের ছোয়া লাগায় সে নিজের শরীরের এ আশ্চর্য ক্ষমতার কথা আবিস্কার করতে পারে।

বিস্মিত হবারই কথা। নিজের শরীরের ভেতর দিয়ে দিপক ১১ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ প্রবাহিত করতে পারে এবং তাতে তার সামান্য ক্ষতি হয় না। দিপক শুধু ১১ হাজার ভোল্ট নয়, একসাথে ৫শ’ পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় যে তারের মাধ্যমে তাও প্রতিরোধ করতে পারে অনায়াসে। বিদ্যুতের যেকোন মোটা তার বিদ্যুৎ থাকা অবস্থায় সে জিহ্বায় লাগাতে পারে। গায়ের সঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ লাগিয়ে দিপকের শরীরে বাল্ব ছোয়ালে তা জ্বলে ওঠে। ১১০, ২২০, ৪৪০ ভোল্ট তার কাছে তুচ্ছ ব্যাপার। বিদ্যুৎ তাকে কোন অবস্থায়ই কিছু করতে পারে না।

দিপক জানান, তিন বছর আগের কথা। তাদের বাসার হিটারটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তার মা তাকে অনেকদিন ধরে এটি সারার জন্য বলেছিল। ইলেকট্রিশিয়ানের কাছে নিয়ে যাবার সামর্থ্য তাদের ছিল না। তাই মা তাকেই সেটি সারার জন্য চেষ্টা করতে বলেন। হিটার সারার সময় অসতর্কতাবশত লাইভ তারের সাথে তার আঙ্গুলের ছোঁয়া লাগে। কিন্তু দিপক তেমন কিছু অনুভব করে না। সে ভেবেছিল তাদের গ্রামে বোধহয় বিদ্যুৎ নেই। কিন্তু বাইরে গিয়ে সে জানতে পারে বিদ্যুৎ আছে। কিন্তু তারপরও বিদ্যুৎ কেন তাকে শক করল না, ভেবে পায় না দিপক। কয়েক দিন পর নিজের ভিডিডি প্লেয়ার সারার সময়ও তার হাতের ছোয়া লাগে লাইভ তারের সাথে। সেদিনও সে কিছু অনুভব করে না। এরপর সে ইচ্ছা করেই বিদ্যুতের তার স্পর্শ করে। কিন্তু বিস্ময়ে দিপকের চোখও ছানাবড়া। বিদ্যুৎ তাকে শক করে না।

তখনই দিপক বুঝতে পারে তার মধ্যে একটি অসম্ভব শক্তিশালী বা ব্যতিক্রম কিছু একটা আছে। এরপর সে ধীরে ধীরে আরও অনেকবার বিদ্যুতের তার স্পর্শ করে। ক্রমে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের তার স্পর্শ করে সে। এভাবে সে বুঝতে পারে বিদ্যুৎ তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। একের পর এক বিভিন্ন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তার, বিভিন্ন ডিভাইস, বিদ্যুতায়িত যন্ত্রপাতি খালি হাতে স্পর্শ করে সে নিজের ভেতরকার শক্তি পরীক্ষা করে ।

বারবার নানাভাবে পরীক্ষা করে সে নিশ্চিত হয় সে আসলে একজন বিদ্যুৎ মানব। বিদ্যুৎ তাকে কোন অবস্থাতেই শক করবে না। কত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ তার শরীর সহ্য করতে পারে তা পরীক্ষা করার জন্য দিপক একদিন তার গ্রামে বিদ্যুতের খুটি বেয়ে উপরে উঠে ১১ হাজার ভোল্টের তার স্পর্শ করে সবাইকে চমকে দেয়। এভাবে পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে দিপকের আশ্চর্য এ ক্ষমতার কথা।

দিপক স্কুলে পড়ে। স্কুলের শিক্ষকরা তাকে ডাক্তারের কাছে যাবার পরামর্শ দেন। ডাক্তাররা দিপকের রক্তের অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে কিন্তু অস্বাভাবিক কিছুই খুঁজে পায়নি তারা। বরং ডাক্তাররাও তার এ আশ্চর্য শক্তির কথা জানতে পেরে তার সঙ্গে সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দিপক জানান, সে ভারত সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগে ম্যানেজারের চাকরি করতে চায়।

ভিডিও দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন :

১১হাজার ভোল্টও হার মানালো বিস্ময় বালক দিপ!



মন্তব্য চালু নেই