১০ হাজার সিরীয় শরণার্থী নেবে যুক্তরাষ্ট্র

১০ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আগামী এক বছরের মধ্যে এসব শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবাবা। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

নতুন করে সিরিয় শরণার্থী নেওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণা আগের তুলনায় অনেক বেশি। এর আগে মাত্র ১৫০০ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। আগামী মাসে আরো ৩০০ জনকে আশ্রয়ের প্রক্রিয়া চলছে। তবে নতুন করে এই ১০ হাজার শরণার্থী নেয়ার ঘোষণার পর এ সংখ্যাকে অপ্রতুল বলেছে শরণার্থী নিয়ে কাজ করছে এমন কয়েকটি সংগঠন ও মার্কিন কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্য।

কংগ্রেস সদস্যদের কাছে বিলি করা একটি চিঠিতে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন ডেমক্র্যাটিক দলের প্রতিনিধি ডেভিড সিসিলিন ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ ওবামাকে ৬৫ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। ধর্মীয় সংগঠনগুলি এ সংখ্যা আরো বাড়িয়ে এক লাখ করার অনুরোধ জানিয়েছে।

বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান এইচআইএএসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মেলানি নেজের বলেছেন, সংকট মোকাবেলায় সিরিয়া থেকে ১০ হাজার শরণার্থী নেওয়া যথেষ্ঠ নয়।

মধ্যপ্রাচ্যের চরমপন্থী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৭০ হাজার শরণার্থীকে প্রতিবছর আশ্রয়ের অনুমতি রয়েছে। তবে এই ১০ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয়ের ঘোষণা ওই ৭০ হাজারের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত না কি অতিরিক্ত সে ব্যাপারে কিছুই জানাননি হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জস আর্নেস্ট।

সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে এসব দেশ থেকে হাজার হাজার লোক আশ্রয় নিতে ইউরোপে প্রবেশ করছে। গত কয়েক মাসে শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে সবেচেয়ে বেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে জার্মানি। দেশটি চলতি বছর আট লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে পারবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যও ২০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয়ের ঘোষণা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বুধবার সদস্য দেশগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক কোটার ঘোষণা দিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই