১শ খ্রিস্টানকে ‘বিশুদ্ধ’ করেছে হিন্দু চরমপন্থিরা
ভারতে প্রায় একশ খ্রিস্টান উপজাতিকে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করার খবর পাওয়া গেছে। চরমপন্থি হিন্দু দল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সংক্ষেপে ভিএইচপি শনিবার গুজরাটের এসব খ্রিস্টানকে ধর্মান্তরিত করে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি করেছে, এসব খ্রিস্টানরা একসময় হিন্দু ছিল। পরে তারা ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্টান হন। এখন তারা আবার নিজেদের পুরনো ধর্মে ফিরে এসেছেন। এজন্য তারা এই ধর্মান্তরিত করার প্রক্রিয়ার নাম দিয়েছে ‘ঘর বাপাসি’ বা ‘ঘরে ফিরে আসা’ অনুষ্ঠান। খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের মাত্র তিন দিন আগে গুজরাটের অরনাই গ্রামের এসব খ্রিস্টানদের ধর্মান্তরিত করা হয়।
তাদের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নাকচ করে দিয়েছে পরিষদের নেতারা। দলের প্রেসিডেন্ট অজিত সোলানকি এক বিবৃতিতে বলেছেন,‘যেসব খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করেছে তাদেরকে আমরা খাদ্য বা এ ধরণের কোনো সাহায্য করিনি। তারা স্বেচ্ছায় হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে।’ ভারতের সকল খ্রিস্টান হিন্দু ধর্মে ফিরে না আসা পর্যন্ত তারা তাদের এই ধর্মান্তকরণ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন বলেও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন।
এসব ধর্মান্তকরণের মদদ দেয়ার খবর অস্বীকার করেছে গুজরাটের প্রাদেশিক সরকার। সরকারি মুখপাত্র নীতিন প্যাটেল বলেছেন,‘জোর করে কাউকে ধর্মান্তরিত করার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’ ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে এ রাজ্যের সবাই সমান স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে বলেও তিনি দাবি করেছেন।
শনিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ‘মহাযজ্ঞ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব খ্রিস্টানদের ‘বিশুদ্ধ’(হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করা) করে বলে জানা গেছে। ‘বিশুদ্ধ’ হওয়ার পর তাদের সবাইকে একটি করে ভগবত গিতা বিতরণ করা হয়। ওই ধর্মান্তকরণ অনুষ্ঠানে তিন হাজারের বেশি লোক উপস্থিত ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে আগ্রার ৫৭ মুসলিম পরিবারকে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করেছিল রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ। এ নিয়ে তখন দেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল এবং তাদেরকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠেছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপে গত ২৫ ডিসেম্বর আলিগড়ে মুসলমানদের ধর্মান্তকরণের আরো একটি পরিকল্পনা নসাৎ হয়ে যায়। তখন ভারতের হিন্দু নেতাদের এ নিয়ে তিরষ্কার করেছিলেন মোদি।
মন্তব্য চালু নেই